নজরবন্দি ব্যুরোঃ ৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডে পালিত হচ্ছিল। এই প্রথমবার রেড রোডের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত নন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই খবর এএনআই সূত্রে। সূত্রের খবর, করোনার কারণে বাদ পড়েছে বেশ কয়েকজন রাজ্যের মন্ত্রীরাও।
আরও পড়ুনঃ ‘উনি গোলাম নয়, আজাদ থাকতে চান’, বুদ্ধদেবকে কুর্নিশ জানিয়ে আজাদকে খোঁচা জয়রামের।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৬০ জন। কিন্তু এই প্রথমবার বাদ পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, আসলে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর কাছে পরাজিত হয়েছেন। তাই এই কাজ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হয়েছে। “ক্যান্সারের ওষুধ বেরিয়েছে কিন্তু হিংসার ওষুধ বের হয়নি। হিংসার কারণেই এই কাজ করা হয়েছে।”
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাজ্য সরকার এবং স্পিকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের উপস্থিতি যেন জল্পনা বাড়িয়েছে। কারণ, মঙ্গলবার রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, আইনের শাসন চলে না, শাসকের আইন চলে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়ানক, ভয়াবহ। রাজ্যপাল হিসাবে আমি চিন্তিত।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান অনুসারে চলুক। আইন মেনে কাজ করুক। কিন্তু সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের নিয়ম ভুলে গিয়েছেন। সাংবিধানিক মর্যাদা ভুলে গিয়েছেন। সংবিধানের সঙ্গে দূর দূরান্ত অবধি তাঁদের কোনও সম্পর্কই নেই। আগুন নিয়ে খেলছেন তাঁরা।
রেড রোডের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত নন বিরোধী দলনেতা, ছিলেন রাজ্যপাল
এদিন বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে রেড রোডে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। এদিনের অনুষ্ঠানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের জয়তু নেতাজী ট্যাবলো। যা দিল্লির প্রজাতন্ত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। যা ঘিরে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাত চরমে পৌঁছায়। দিল্লির না মানলেও রাজ্যে ট্যাবলো চালানোর কথা দিয়েছিলেন মমতা সেটাই হল এদিন। তবে দিল্লিতে কুচকাওয়াজে নেতাজীর ট্যাবলো চললেও বিতর্কের অবসান এখানেই হচ্ছে না।