নজরবন্দি ব্যুরোঃ সাতসকালে গার্ডেনরিচে বিরাট অভিযান চালিয়ে বিপুল টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা মামলায় কলকাতা শহরের একাধিক জায়গায় অভিযানের মধ্যেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রায় ৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এখনও গণনা চলছে। টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রোপ দাগলেন সিপি(আই)এমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, তৃণমূলের রাজত্বে যেখানে হাত দেবেন সেখানেই টাকা।
আরও পড়ুনঃ সরকার ও পুলিশ মিলিতভাবে দুষ্কৃতীদের আড়াল করছে, আনিস খানের ভাইয়ের ওপর হামলায় সরব মীনাক্ষী
বর্ষীয়ান বাম নেতার কথায়, সাত কোটি। কোটি, কোটির নীচে গল্প নেই। মাদক ব্যবসায়ী কয়েক কোটি। অনুব্রত কোটি কোটি। পার্থবাবু এবং তাঁর বন্দুবান্ধব, আপাতত একজন, তাতে ৫০ কোটি। পরিবহন মন্ত্রী যিনি ছিলেন তাঁর নাম ফিরহাদ হাকিম। এখন পরিবহন মন্ত্রী যিনি হয়েছেন, তাঁর নাম স্নেহাশিষ চক্রবর্তী। পরিবহন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নাকি নাসির খান। সাত কোটি! পশ্চিমবঙ্গটাকে পচিয়ে দিল। ব্ল্যাক মানি। কালো টাকা। যতবড় নেতা, ততবড় চোর। যতবড় নেতা, ততবড় পাচারকারি। যতবড় নেতা ততবড় অপরাধী। তৃণমূলের এটাই বাস্তব।
তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে আপনি যেখানে হাত দেবেন সেখানেই টাকা পাবেন। বাংলায় কালো টাকা উড়ে বেরাচ্ছে। খাটের তলায় এখন কোটি-কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে লুঠের রাজত্ব এবং সেই ভাগাভাগি কে কতটা পাচ্ছে তার তর্ক-বিতর্ক করে লাভ নেই। যে বাংলা সংস্কৃতির দিক থেকে এগিয়ে ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই বাংলার কী অবস্থা হয়ে গিয়েছে
সকাল বেলাতেই গার্ডেনরিচে নাসির খান নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে ইডির আধিকারিকরা৷ তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা।
২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্কস্ট্রিট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। সেখানে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন ফেডারেল ব্যাঙ্ক। পার্কস্ট্রিট থানার পাশাপাশি ঘটনায় নজরদারি ছিল ইডির। যে তদন্ত পার্কস্ট্রিটের থানা করছিল, সেই সূত্র ধরেই চলে অভিযান। এরপর বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে।
তৃণমূলের রাজত্বে যেখানে হাত দেবেন সেখানেই টাকা, সোজাসাপটা সুজন
ইতিমধ্যেই গার্ডেনরিচের বাড়িতে টাকা গোনার জন্য আনা হয়েছে একাধিক মেশিন। আনা হয়েছে প্রিন্টার টাকার পরিমাণ ৮ কোটি পার হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিপুল টাকা কীভাবে উদ্ধার হল? তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সদুত্তর না মেলায় এই টাকাকে কালো টাকা বলে মনে করা হচ্ছে।