অপসারণের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা শিশির অধিকারীর।

নজরবন্দি ব্যুরো: অপসারণের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা শিশির অধিকারীর। সরকারি এবং দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসলেন শিশির অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর পর সৌমেন্দুও নাম লিখিয়েছে বিজেপিতে। এরপরই DSDA -এর পদ থেকে অপসারণ করা হয় তৃণমূলের একজন প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শিশির অধিকারীকে। যদিও দলের নামে কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। তবে এবার সময় এসেছে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থানের ব্যাপারে মানুষকে জানানো। তাই আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “আমি ভদ্রলোকের ছেলে। সময় মতো জানিয়ে দেব!”
আরও পড়ুন: একাধিক শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করছে রাজ্য পুলিশ। আজই আবেদন করুন।
শিশির অধিকারী ছিলেন দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ -এর চেয়ারম্যান। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতারাতিই তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার বদলে আনা হয়েছে তাঁর বিপরীত গোষ্ঠী বলে পরিচিত অখিল গিরিকে। অন্যদিকে, তিনি ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। শিশিরবাবু ওই জেলার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। এখনও সেই পদে রয়েছেন। একের পর এক অপসারণ। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই তা যুক্তিগ্রাহ্য নয় বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। তবে শিশিরবাবু এনিয়ে কখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
অপসারণের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা শিশির অধিকারীর। এদিন শিশিরবাবু খানিকটা ক্ষোভপ্রকাশ করেই জানান, এই যে বলা হচ্ছে, মন্ত্রিত্ব ‘এনজয়’ করেছেন, এর মানে কী? এখন মন্ত্রিত্ব মানে কি ভোগ করা? সবাই ভোগবাদী হয়ে গেল। আমরা তো পরিষেবা দিয়েছি। নাওয়াখাওয়ার সময় ছিল না।
তবে তাতেও বেসুরো নন শিশিরবাবু। দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করায় খুব সংক্ষিপ্ত উত্তরে বলেন, “এখনও তো আছি। যা করার করব, বলে দেব। ভদ্রলোকের ছেলে, বলে দেব। আমাদের অনেক মানুষের কথা শুনতে হয়।” তবে অপসারণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আশ্চর্য লাগছে! কেন এলাম, কেন গেলাম বুঝতে পারছি না। কেন এমন কথা বলা হচ্ছে তাও জানি না। তবে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব না।” তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করতে এসেছিলেন, তার আগের দিন তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার পর আর কথা হয়নি।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পরে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা বারবার অভিযোগ করেছেন, সাড়ে ৯ বছরে তিনি দল থেকে অনেক সুযোগ- সুবিধা নিয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রীও করেছিলেন। সব কিছু ভোগ করার পর তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। ‘ভোগ’ শব্দে আপত্তি রয়েছে শিশিরবাবুর। এ দিনের কথা থেকে সেই বিষয়টি পরিষ্কার।