নজরবন্দি ব্যুরোঃ ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা পেরিয়েছে এক মাসের বেশি। অবশেষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপাতত স্থির হয়েছে ক্যাম্পাস ও হস্টেল মিলিয়ে মোট ১০ জায়গায় ২৬টি ক্যামেরা বসবে। পাশাপাশি, সল্টলেক ক্যাম্পাসেও ৩ টি ক্যামেরা বসবে। অর্থাৎ, মোট ২৯টি।
আরও পড়ুনঃ নয়া সংসদ ভবন হল মোদী মাল্টিপ্লেক্স! নতুন সরকার এলে ‘বদলের’ ইঙ্গিত কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্র সংগঠন বৈঠক করে কোন কোন জায়গায় ক্যামেরা বসানো প্রয়োজন তা স্থির করে। সেই মোতাবেক ক্যাম্পাসের মোট ১০টি জায়গাকে ‘স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট’ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিটি গেটে ২টি করে ক্যামেরা বসবে। এছাড়া হস্টেলের কিছু অংশ এবং প্রশাসনিক ভবনেও বসছে সিসিটিভি। চলবে নজরদারিও। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, মোট ৩০দিনের ফুটেজ সংরক্ষিত থাকবে এই ক্যামেরাগুলিতে।

মাস খানেক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে সিনিয়রদের র্যাগিং সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয় নদীয়ার বগুলার এক কিশোরের। প্রশ্ন ওঠে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে। একই সঙ্গে, ছাত্র সংগঠনের দাদাগিরির কথাও প্রকাশ্যে আসে। বিশেষ করে হস্টেলে বছরের পর বছর ধরে র্যাগিং চললেও প্রতিবাদ করার কেউ ছিল না।
শুরু হল যাদবপুরে CCTV বসানোর প্রক্রিয়া, আপাতত ১০ জায়গায় ২৬টি ক্যামেরা
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় মোট ১৩জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও চলছে তদন্ত। পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন এই ১৩ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মৃত ছাত্রের সিনিয়র। অনেকে আবার পাশ আউট হয়েও হস্টেলে থাকতেন থুড়ি র্যাগিংচক্র চালাতেন। এই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি কম উত্তপ্ত হয়নি। মৃত ছাত্রের মাকে চাকরি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।