নজরবন্দি ব্যুরোঃ কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে তোপ পার্থ-র। কমিটি গঠন রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে কমবেশি সমালোচনা করেছে রাজ্যের শিক্ষক মহল। কয়েকদিন আগেই নয়া শিক্ষানীতি এই অতিমারী কালে ছাত্র স্বার্থের ‘পরিপন্থী’ ঘোষণা করেছে বাম ছাত্র সংগঠন পিএসইউ। “নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০” যেভাবে সংসদকে এড়িয়ে মন্ত্রীসভায় অনুমোদন করিয়েছে তার বিরুদ্ধে পিএসইউ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই শিক্ষানীতি বাতিলের দাবীতে আন্দোলনে নামে। সমর্থকরা পোষ্টার হাতে ও নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির অনুলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আর এবার আসরে নামল তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ টিকা ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায় ভারতে; সফল হলে নভেম্বরেই সুরক্ষিত দেশ-দুনিয়া।
কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে তোপ পার্থ-র। আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, “পড়াশোনার নিয়ম নীতি পরিবর্তন হল কিন্তু তা নিয়ে কোনও আলাপ-আলোচনা হল না। এই ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতি চালু করা যায় না।” তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্রের নয়া শিক্ষা নীতি নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। আমরা লিখিত আকারে সেটা কেন্দ্রকে জানিয়েছিলাম। নতুন শিক্ষানীতি চালু করতে গেলে আগে অনেক কিছু করতে হবে। পাঁচ বছরে এই শিক্ষানীতি চালু করা সম্ভব নয়।”
পাশাপাশি এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের এই কমিটির রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন, সৌগত রায়, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, অভিক মজুমদার, পবিত্র সরকার এবং সুরঞ্জন দাস। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে এই কমিটি আগামী ১৫ই আগস্টের মধ্যে রিপোর্ট দেবে রাজ্য সরকার কে। আর এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নয়া শিক্ষানীতি রাজ্যে প্রনয়ন করা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, পিএসইউ রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ নওফেল সাফিউল্লা এই বিষয়ে বলেছেন, “এই শিক্ষানীতির মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বাজারের হাতে তুলে দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্বেও, তা অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে শিক্ষাকে সম্পূর্ন কেন্দ্রীয়করণ করতে চাইছে৷ পি এস ইউ মনে করে এই শিক্ষানীতি চালু করবার আগে শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা যে মতামত দিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন ছিল।বৈষম্যমুক্ত সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনে নীতি প্রণয়ন হোক।”