নজরবন্দি ব্যুরোঃ প্যানেলের সময়সীমা বাড়াচ্ছে রাজ্য; চাকরি-র ক্ষেত্রে একাধিক মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। করোনা বিপর্যয়ের কারনে রাজ্য তথা দেশে বদলে গেছে শিক্ষা দানের পদ্ধতি। প্রতিমুহুর্তে আধুনিকীকরণের চেষ্টা চলছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। কিভাবে বাড়িতে বসেই ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষাদান করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে প্রতিটি স্তরে। এই পরিস্থিতিতে বেঙ্গল এডুকেশন লিডার্স সামিট হল রাজ্যে। ভার্চুয়াল আলোচনা সভার সভাপতি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা জগতের একাধিক দিকপাল।
আরও পড়ুনঃ নিজের জেলায় বদলি নিয়ে ফের বিতর্ক। করোনা আবহে বিপাকে শিক্ষক সমাজ।
অংশগ্রহণ করেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার ফেলিক্স রাজ, ম্যাকাউট ওয়েস্ট বেঙ্গলের উপাচার্য সৈকত মৈত্র, এনআইটি দুর্গাপুরের ডিরেক্টর অনুপম বসু, জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরনজিৎ সিংহ, রাইস এডুকেশনের চেয়ারম্যান শমিত রায়, এবং টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের সত্যম রায়চৌধুরী। অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
প্যানেলের সময়সীমা বাড়াচ্ছে রাজ্য; চাকরি-র ক্ষেত্রে একাধিক মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মন্তব্য করেন নিয়োগ প্রসঙ্গে। তিনি বলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রে এই অতিমারির কারনে নিয়োগ করা বা ইন্টারভিউ নেওয়া সম্ভব হয়নি। সেকারনেই সরকার যোগ্যপ্রার্থীদের জন্যে প্যানেলের সময়সীমা বাড়াচ্ছে। কর্মসংস্থান নিয়ে তাঁর বক্তব্য, শিক্ষা ও শিল্পক্ষেত্রের সংযোগ ভীষণভাবে প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ বিপুল শূণ্যপদ তবুও নিয়োগ করছে না রাজ্য! অবসাদে ভুগছেন ৭ হাজার ওয়েটিং।
তবে তিনি তার আগে সঠিক ভাবে শেখাটা বেশি জরুরি বলে জানান। তাঁর কথায়, শিল্পক্ষেত্র যদি শিক্ষাগত প্রয়োজন কে নির্দিষ্ট করতে পারে, তাহলে আমরা চাকরিক্ষেত্রের জন্য পড়ুয়াদের প্রস্তুত করে দিতে পারব। তাঁর ব্যাখ্যা, চাকরিক্ষেত্রকে সফল করতে হলে শিল্পক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্র, বাণিজ্যিক ক্ষেত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়- সকলকেই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। এদিন শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিয়োগ জটিলতা বা নিয়োগে বেনিয়ম প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করেন নি। তিনি ইঙ্গিত দেন আগামীদিনে রাজ্য বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির দিকে বেশি জোর দিতে চলেছে।