নজরবন্দি ব্যুরোঃ লাগাম ছাড়া সংক্রমণ বৃদ্ধি করোনার। এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন (Omicron)। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই মুহূর্তে কোভিডের যাবতীয় ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দিতে পারে করোনা ভাইরাসের এই স্টেন। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, কোভিডের এই ‘দানব’ স্টেন থেকে কীভাবে পাওয়া যাবে মুক্তি?
আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগরে রক্ষে নেই জয়দেব মেলা দোসর, কি হবে রাজ্যের করোনা ভবিষ্যৎ?
এই প্রশ্ন যখন হাঁতড়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্ববাসী তখনই আশার কথা শোনালেন ফাইজারের সিইও (CEO) আলবার্ট বোরলে (Albert Bourla)। সোমবার তিনি জানান, ওমিক্রনের ‘খেল খতম’ করতে একটি বিশেষ ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। করোনার এই ভ্যারিয়্যান্ট থেকে যা সুরক্ষা দেবে সাধারণ মানুষকে। মার্চ মাসেই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাতিয়ার হিসেবে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করেছে ফাইজারে।
অ্যালবার্ট আরও জানান, শুধুমাত্র ওমিক্রন নয়, করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেবে এই নতুন ভ্যাকসিনটি। কীভাবে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই সংক্রামক ভ্যারিয়্যান্টের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে ফাইজার, তা স্পষ্ট জানিয়েছে সংস্থর সিইও (CEO) ।
ফাইজারের সিইও (CEO)-র বক্তব্য, আশা করা যায় নতুন এই ভ্যাকসিন ওমিক্রন তথা করোনা ভাইরাসের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে পারবে। বর্তমানে যে তথ্য হাতে পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে ফাইজার এবং মর্ডানা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ২০ সপ্তাহ পর তা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে মাত্র দশ শতাংশ কাজ করছে। তবে অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে এবং করোনা ভাইরাসের অন্যান্য স্টেনের বিরুদ্ধে এই দুই টিকা অত্যন্ত কার্যকরী।
বিশ্ববাসীকে স্বস্তি দিয়ে আসছে ওমিক্রন ভ্যাকসিন, কবে? জানুন
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা: অ্যান্টনি ফাউচি ডিসেম্বর মাসে দাবি করেছিলেন, ওমিক্রন রুখতে আলাদা করে বুস্টার ডোজ নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ আমেরিকায় করোনার তৃতীয় ডোজ তথা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর এই তৃতীয় ডোজ করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে আশাবাদী ছিলেন তিনি। ফাইজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, ওমিক্রন ঠেকাতে টিকার আরও একটি ডোজ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে তারা।