নজরবন্দি ব্যুরোঃ সপ্তাহ তিনেক আগে বাংলাদেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ছিল একেবারেই সীমিত, সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। কিনতু মাত্র ৩ সপ্তাহের ব্যাবধানে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশি এই দেশটিতে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপশি প্রচুর মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন করোনা ভাইরসের সংক্রমনে। এবার তৃতীয় ঢেউয়ের পালা। তৃতীয় ঢেউ যে দেশে ঢুকে পড়েছে তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুনঃ ওয়ানপ্লাস ৯আরটি ৫জি লঞ্চ হল ভারতে, দেখে নিন দাম ও সমগ্র ফিচার্স
গত কয়েকদিনে সংক্রমণ পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিন গুণ বেড়েছে সংক্রামিতের সংখ্যা। পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের গোষ্ঠী সংক্রমণ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) হয়েছে। তাই সারা দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে না।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দফতর প্রদত্ত বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৮ জন। সুস্থতার হার খুবই কম। শেষ ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ৩৫১ জন। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭১ টি। ক্রমশ বাড়ছে বাংলাদেশের পজিটিভিটি রেট।
করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের গোষ্ঠী সংক্রমণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ভাসছে বাংলাদেশ।
দেশের পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। প্রায় সাড়ে চার মাসের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমন এবং পজিটিভিটি হারের রেকর্ড। এখন পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেশে ৩৩ জন করোনার অমিক্রন ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, জিনোম সিকোয়েন্সের কাজটি এখন পর্যন্ত সুসংগঠিতভাবে করা হচ্ছে না। তাই করোনার কোন ধরন বেশি ছড়াচ্ছে, সে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না সঠিকভাবে।