নজরবন্দি ব্যুরোঃ দেখতে দেখতে সাত দিন পার। একই ভাবে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে বছর ২৯ –এর মেয়েটি। আর তাঁকে সুস্থ করে তোলার আপ্রান চেষ্টায় চিকিৎসক থেকে পরিবারবর্গ। সুস্থতা কামনায় গোটা টলিউড থেকে সাধারণ নাগরিক। সবার প্রার্থনা আর একবার জীবনের যুদ্ধে জিতে যাক ঐন্দ্রিলা। কিন্তু সপ্তাহান্তে এসে এখনও টলমল তাঁর শারীরিক অবস্থা। উন্নতির সামান্য লক্ষণের পাশাপাশি তাঁর দেহে নতুন সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে, এমনটাই খবর হাসপাতাল সূত্রে। ‘সি প্যাপ’ সাপোর্টে রয়েছেন অভিনেত্রী। এখনও একেবারেই বিপন্মুক্ত নন নায়িকা।
আরোও পড়ুনঃ বড় পর্দায় ধনকুবেরদের জালিয়াতি, বিজয় মাল্যের চরিত্রে অনুরাগ কশ্যপ
সোমবার সন্ধেবেলা সামান্য স্বস্তির খবর শুনিয়েছিলেন তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। ফেসবুকে লেখেন, “সাড়া দিচ্ছেন ঐন্দ্রিলা।” ‘এক্সটার্নাল স্টিমুলি’র মাধ্যমে অভিনেত্রীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পুরোপুরি জ্ঞান না ফিরলেও তাঁর শ্বাসক্রিয়া আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। রক্তচাপ মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বরও কমেছে। বয়স অল্প তাই নতুন আশায় বুক বাঁধছিলেন সকলে। কিন্তু এসে জুটল নতুন বিপদ।
আচমকা ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গত সাত দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভিনেত্রী। জানা গিয়েছিল, শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন। শনিবার ‘ট্র্যাকিওস্টোমি’ করেছিলেন ঐন্দ্রিলার। গলায় ফুটো করে নল ঢোকানো হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসকেরা ট্র্যাকিওস্টোমি করেছেন যেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টের মাত্রা কমানো যায়। এখন তাঁকে ভেন্তিলেশ্ন থেকে বের করে আনা হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত।
ছড়াচ্ছে নতুন সংক্রমণ, অইন্দ্রিলার শরীর নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা
এখনও নিয়তির সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। পাশে বটবৃক্ষের মতো দাড়িঁয়েছেন প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা করছেন তাঁর সহকর্মী, ভক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীরা। এর আগেও দু’বার ক্যানসার জয় করে ফিরেছেন অভিনেত্রী। ফলে তৃতীয় বারের যুদ্ধটা যে আরোও কঠিন তাতে কোন সন্দেহ নেই। অবশ্য প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে, সাথে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল। নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। এর অন্যথা কিছু হবে না।’