নজরবন্দি ব্যুরোঃ কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে প্রায় দু’মাস ধরে শহীদ মিনারের পাদদেশে আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি জারি রেখে সরকারি কর্মচারীদের ৪২ ট সংগঠন। শনিবার তাঁদের সঙ্গে এক দিনের জন্য অনশনে বসলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার সকাল ৬ টা থেকে ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ধর্না শুরু করেছেন তিনি। এদিন তিনি অনশনে বসার আগে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। ডিএ ধর্না মঞ্চে উপস্থিত নওশাদ সিদ্দিকিকে ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজাও।
আরও পড়ুনঃ Shantanu Banerjee: শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান শুরু, প্রভাবশালী যোগ খুঁজছে ইডি
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ জানিয়েছেন, আমি আগেই বলেছিলাম অনশন করব। সেই মোতাবেক আমি এখানে এসেছি। সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনও খাবার আমি খাব না। সরকারের উচিত আলোচনায় বসে একটি সমাধান বার করা। তিনি আরও বলেন, সরকার দাবি করছে টাকা নেই। কিন্তু মেলা অথবা অন্যান্য কর্মসূচিতে দান করা হচ্ছে। তা বন্ধ করে অবিলম্বে ডিএ দেওয়া হোক। এই আন্দোলন আগামী দিনে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই ডিএ আন্দোলনরত কর্মীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ। তাঁর হুমকির পরে ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে বিধায়ক নওশাদ উপস্থিত হতেই আরও আন্দোলনের উত্তাপ বেড়েছে। আন্দোলনকারীদের কথায়, সম্প্রতি ভাঙড়ের কাইজার আহমেদ মন্তব্য করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীদের আপ্যায়ন করবেন না। তাঁর মন্তব্যে কিছুটা হুমকির সুর ছিল। শুধু একটি ঘটনা নয়, একাধিক জায়গায় আন্দোলনকারীদের আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানাচ্ছি।
ডিএ ধর্না মঞ্চে উপস্থিত নওশাদ, বসলেন একদিনের অনশনে

উল্লেখ্য, একটানা ডিএ আন্দোলনকারীদের অনশনের মাঝেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। একথা বারবার জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাতে সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক ভূমিকা দেখা যায়নি। বরং বারবার শাসক দলের নেতাদের আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের।