নজরবন্দি ব্যুরো: বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই হঠাৎ জরুরী অধিবেশনের ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেইমতই সোমবার নতুন সংসদ ভবনে অধিবেশন বসে। আজকের পর একটি অধ্যায়ে চিরকালের মত ইতি পড়তে চলেছে। পাশাপাশি এই বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে শোনা যায় জওহরলাল নেহেরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী, মনমোহন সিংয়ের নাম।
আরও পড়ুন: ১২০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত, এখনও রণক্ষেত্র অনন্তনাগ, জঙ্গলে উদ্ধার জঙ্গির পোড়া দেহ
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশেষ অধিবেশনের শুরুতেই ভাষণ রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঘোষণা করা হয়, আজই পুরনো সংসদ ভবনে অধিবেশনের শেষ দিন। মঙ্গলবার থেকে নতুন সংসদ ভবনে বসবে অধিবেশন। এদিন পুরনো সংসদ ভবনের স্মৃতিচারণা করেন মোদী। জওহরলাল নেহেরুর প্রশংসা করেন তিনি। পাশাপাশি লালবাহাদুর শাস্ত্রী, ইন্দিরা গান্ধী এবং মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথাও নিজের ভাষণে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ““জওহরলাল নেহরুর ‘ইন দ্য স্ট্রোক অব মিডনাইট’ বক্তব্য গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, সরকার আসবে, যাবে, কিন্তু দেশকে থাকতে হবে। এই বক্তব্যগুলি সবসময় মনে থাকবে।”
সংসদের ভালো ও মন্দ এই দুই দিকের তুলনা টেনে মোদী বলেন, “এই সংসদ অনেক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের সাক্ষী রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্য়াহার, এক র্যাঙ্ক-এক পেনশন, জিএসটির মতো একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আবার এই সংসদ ভবনই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সময়কালে ক্যাশ ফর ভোটের মতো দুর্নীতিরও সাক্ষী থেকেছে। এই সংসদ যেমন চারজন সাংসদের দলকে ক্ষমতায় বসে থাকতে দেখেছে, তেমনই ১০০ জন সাংসদ নিয়েও দলকে বিরোধীদের আসনে বসে থাকতে দেখেছে।”
এদিন নিজের বক্তব্যে জি-২০ সম্মেলন এবং চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। চন্দ্রযানের ৩-এর ঐতিহাসিক অভিযান নিয়ে বলতে গিয়ে ইসরোকে অভিনন্দন জানান মোদী। এই বিশেষ অধিবেশন শুরুর আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এই অধিবেশন ছোট হলেও গুরুত্বপূর্ণ।
মোদীর মুখে নেহেরুর প্রশংসা, সংসদ ভবনে নিজের ভাষণে তুলে ধরলেন ইন্দিরা-মনমোহনের অবদানের কথা
