নজরবন্দি ব্যুরোঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া হয় ২,৩১,২৪৮ কিউসেক জল। পাশাপাশি, এই কদিনে ২ লক্ষ ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। পাশাপাশি তিলপাড়া ব্যারাজ থেকে এক লক্ষ কিউসেকের উপরে জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায়। যা নিয়ে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, রাত তিনটের সময় না বলে জল ছেড়েছে ডিভিসি। এটা ম্যান মেড ফ্লাড।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি ছাড়তে পারেন বিধায়ক হিরণ, মানুষের জন্যে কাজ করতে পারছেন না অভিনেতা!!
এদিন ডিভিসির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ড-বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের রাজ্যকে ফল ভুগতে হচ্ছে। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করছে না। ওরা ওদের ড্যামগুলো পরিষ্কার করলে আরও জল ধরে। এভাবে না জানিয়ে জল ছাড়ার তীব্র প্রতিবাদ করছি আমি। বৃষ্টির জন্য বন্যা হলে বুঝতাম৷ কিন্তু বন্যা হচ্ছে জল ছাড়ার জন্য৷”
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কথায়, “এটা ম্যান মেড ফ্লাড। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাত তিনটের সময় না জানিয়ে জল ছেড়েছে ডিভিসি৷ সেই জন্যই বন্যা হচ্ছে। বাঁকুড়া জেলা পুরো ডুবে গিয়েছে, বর্ধমান ভাসছে। ওই জল আসছে হাওড়া-হুগলিতে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলায় জেলায় পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রীদের। সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার বাঁকুড়ায় থাকবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মলয় ঘটক আজ ও কাল থাকবেন পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায়। ফিরহাদ হাকিম, বেচারাম মান্না দেখবেন হুগলী জেলার পরিস্থিতি। হাওড়ার পুরোটা এবং হুগলির কিছুটা বন্যা পরিস্থিতি দেখবেন পুলক রায়। এবং মেদিনীপুর দেখবেন মানস ভুঁইয়া।”
রাত তিনটের সময় না বলে জল ছেড়েছে ডিভিসি, এটা ম্যান মেড বন্যা, বিস্ফোরক মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন আগামীকাল আকাশপথে সমস্ত জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তিনি। উল্লেখ্য, হাওড়া, হুগলি, পঃ বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া জেলা ডুবতে চলেছে বলে আশঙ্কা নবান্নের। ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি, তারপর ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবনের আশঙ্কা। আর সেই কারনেই ৫ জেলার ডিএমকে সর্তক থাকতে বললেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুধু তাই নয় হাওড়া, হুগলি, পঃ বর্ধমানের জন্য সেনা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।