নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিধানসভা নির্বাচনের পর মোদি সরকারের মন্ত্রক হারাতেই দলবদল করে ফেলেন বাবুল সুপ্রিয়। পরে উপনির্বাচনে জয়লাভ করে সোজা জায়গা করে নেন মমতার মন্ত্রীসভায়। এরই মধ্যে সময় পেরিয়েছে তিন মাস। ‘দক্ষ’ বাবুলের কাজ নিয়ে বৃহস্পতিবার উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিধানসভায় বাবুল বনাম মমতা –র ছবি ধরা পড়ল।
আরও পড়ুনঃ DA Protest: ডিএ আন্দোলনকারীরা কি বোমা ছুড়েছে? আদালতে সওয়াল বিকাশরঞ্জনের
পর্যটন দফতরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জবাব দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময়েই রাজ্যের পর্যটন বিভাগ নিয়ে মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ইয়ুথ হোস্টেল সক্রিয় করতে হবে। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। মন্ত্রীসভায় ন্তুন আসার জন্য বাংলা সম্পর্কে অবগত হওয়ার কথা বলেন তিনি।

পাল্টা উত্তর দিতে উঠে বাবুল বলে বসেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। হিমালয় থেকে সমুদ্র আছে। সবটা আমার নলেজে নেই। আমার সিলেবাসের বাইরে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহায্য করে দিলে ভাল হয়।
বাবুলের এই উত্তরে কিছুটা চমকে যান শাসক পক্ষের অন্যান্য নেতা মন্ত্রীরা। বাবুলের কাছে ছুটে যান অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্য সদস্যরাও। পরে অবশ্য বাবুল বলেন, বিধানসভার সঙ্গে লোকসভার ফারাক আছে। এটা তাঁকে সিনিয়ররা বুঝিয়েছেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারে গিয়ে দেখা করেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন সব ঠিক রয়েছে।
বিধানসভায় বাবুল বনাম মমতা, ময়দানে নামলেন শীর্ষ নেতৃত্ব

গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের অন্যতম দক্ষ সংগঠক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে বাবুল সুপ্রিয়কে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাবুল সুপ্রিয়র মুখে এহেন কথা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। তবে কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ল বাবুলের? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।