নজরবন্দি ব্যুরোঃ বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমান দূরত্ব। শুক্রবার অখিলেশ যাদব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক যেন সেটারই ইঙ্গিত দিল। শুক্রবার কালীঘাটে মমতা ও অখিলেশের বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। এমনটাই সূত্রে খবর। বিজেপি যেভাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে সামনে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা করছে, এত সহজভাবে চেহড়ে দিতে রাজি নয় অন্যান্য বিরোধী দলগুলি।
আরও পড়ুনঃ TMC-Congress: নিজেদের বিরোধী শিবিরের বিগ বস ভাবার প্রয়োজন নেই, কংগ্রেসকে বার্তা তৃণমূলের
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানালেন, সংসদের অন্দরে একাধিক ইস্যুতে আগে আলাদা করে সরব হচ্ছে তৃণমূল। তারপরে কংগ্রেস নেতা সহ বিরোধীরা একজট হয়ে মিছিলে শামিল হচ্ছেন। তাই তাঁরা প্রতিবাদের ধরনে কোনও পরিবর্তন আনতে চাইছেন না। কিন্তু বিজেপি কৌশলে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলের প্রধান মুখ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। যাতে নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজ সহজ হয়ে যায়।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই চেয়েছেন যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী তাঁরা বিজেপির বিরুদ্ধে সেই রাজ্যে লড়াই করুক। উদাহরণ হিসেবে কর্ণাটকের কথা তুলে ধরেন যেখানে বিজেপি সঙ্গে সরাসরি লড়াই কংগ্রেসের। সেখানে বিজেপির হার নিশ্চিত বলেও মনে করছেন তিনি। কিন্তু এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না।
বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমান দূরত্ব, জোট বাঁধছে আঞ্চলিক দলগুলি

এদিনের বৈঠকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় ফ্রন্টের কথা না বললেও আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এর জন্য আগামী ২৩ তারিখ ওড়িশায় গিয়ে বিজু জনতা দলের প্রধান নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ও বিজেপির থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখার সিদ্ধান্তে মমতার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন সপা প্রধান অখিলেশ যাদব। কলকাতায় নেমে একযোগে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করতে দেখাঁ গেল তাঁকে।