নজরবন্দি ব্যুরোঃ শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে গোটা বাদল অধিবেশন থেকেই। তখনই প্রশ্ন তুলেছিলেন ডেরেক, তাঁর যুক্তি ছিল এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনকে অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হলে একই কারনে নোটিস যাক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীর কাছেও।
আরও পড়ুনঃ বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ, কঠোরতম বিধিনিষেধ পালনে বাংলাদেশের রাস্তায় সেনাবাহিনী
তিনিও সংসদের ভেতরেই তেড়ে গিয়েছিলেন শান্তনু সেনের দিকে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর বিরুদ্ধে স্বাধিকারে ভঙ্গের নোটিস পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আজ সংসদের নিম্নকক্ষে এই প্রস্তাব পেশ করেছেন কৃষ্ণনগর লোকসভার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
মহুয়ার বক্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে পেগাসাস নিয়ে যা বলেছেন, সেই বক্তব্য সর্বৈব সত্যি নয় আদপে। গতকাল পেগাসাস নিয়ে অধিবেশন কক্ষে বক্তব্য রাখছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণো, তখনই আচমকা সেই কাগজ ছিনিয়ে নেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।
এবং ছিঁড়ে ফেলে দেন তা। তার জেরেই শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার পাল্টা চালে আসরে নেমেছেন মহুয়া। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যা কিছু বলছেন পেগাসাস নিয়ে তা সব ঠিক নয়। অশ্বিনী নিজের বক্তব্যে বলেছিলেন, “অতীতেও একাধিকবার হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাস নিয়ে একই ধরনের দাবি করা হয়েছিল। এই ধরনের দাবির কোনও সত্যতা নেই, সুপ্রিম কোর্ট-সহ সব দল তা নস্যাৎ করেছে।”
এখানেই অভিযোগ মহুয়ার। তাঁর মতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আগের যে কথা বলছেন তা সঠিক নয়, কারণ সেই সময়ের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। অর্থাৎ মিথ্যে বলছেন বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। নিজের যুক্তির স্বপক্ষে একগুছ প্রমাণ আর বক্তব্য তুলে ধরে লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে চিঠি দিয়েছেন তিনি।