নজরবন্দি ব্যুরোঃ চোখ রাঙাচ্ছে থার্ড ওয়েভ, এর আগেই করোনা কালের মাধ্যমিক হয়েছে বাংলায়, মূল্যায়ন পদ্ধতিও হয়েছে নতুন ভাবে। ফলাফলে দেখা গিয়েছে পাশের হার চোখ কপালে তোলার মত। তবে এই বছরের মতোই পরের বছরেও পরিস্থিতি থাকবে কিনা, শিক্ষার্থীরা আদেউ বছর ভর আগের মতোই চেয়ার টেবিলে বসে ক্লাস করতে পারবে কিনা তা নিয়ে ধন্দে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ থার্ড ওয়েভ রুখতে তৎপর দ্বিবেদী, আজ সন্ধ্যেতেই বৈঠক জেলা প্রশাসনের সঙ্গে
আর সেই কারণেই পরীক্ষার বহু আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সিলেবাস কাঁটছাটের। করোনা কালের ভয়াবহতা দেখে এবারের পরীক্ষার আগে বহু ভাবতে হয়েছে পর্ষদ সরকার উভয় পক্ষকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষার কথা ভাবলেও গোটা দেশের পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্তে বদল হয় শেষ মুহুর্তে।
তার আগেই কমানো হয়েছিল সিলেবাস। এই মুহুর্তে রাজ্যের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো। তবে চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। গবেষকদের মতে একাধিক রাজে ইতিমধ্যে চুপিসারে ঢুকে পড়েছে তা। বাড়ছে দেশের আর ভ্যালুও। এসব কথা মাথায় রেখেই যাতে তবে এবারে আর মাঝপথে সিদ্ধান্ত যাতে না নিতে হয় তাই শুরু থেকে বিকল্প পথ ভেবে রাখছে পর্ষদ।
চোখ রাঙাচ্ছে থার্ড ওয়েভ, হাতে সময় থাকতে আগামী বছরের পরীক্ষার ব্লু প্রিন্ট বানাচ্ছে পর্ষদ।
চোখ রাঙাচ্ছে থার্ড ওয়েভ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কাঁটছাট করা হচ্ছে সিলেবাস। কোন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে এখন ভাবা না হলেও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সিলেবাস কমানোর কথা ভাবা হয়েছে।
অন্যদিকে সিআইএসসিই-র তরফে জানানো হয়েছে আগামী শিক্ষাবর্ষে ৫০ শতাংশ সিলেবাস নিয়ে হবে প্রথম সেমিস্টার এবং বাকি ৫০ শতাংশ নিয়ে হবে দ্বিতীয় সেমিস্টার। আইএসসি দ্বাদশেও দুই সেমিস্টারে পরীক্ষা হবে ৭০\৮০ নাম্বারের। নতুন পাঠ্যসূচি মিলবে বোর্ডের ওয়েবসাইটের ‘পাবলিকেশন’ নামক বিভাগে।