নজরবন্দি ব্যুরোঃ পুজোর আগে চলবে লোকাল ট্রেন? অতিমারীর কথা মাথায় রেখে লোকাল ট্রেন স্থগিত রেখেছে রাজ্য। এদিকে উৎসবের মুরশুমে চালু করা হয়েছে স্পেশাল ট্রেন। আর তাতে যাত্রীরা উঠতে চেয়ে স্টেশনে চলছে বিক্ষোভ- অবরোধ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলার লোকাল ট্রেন চালু করতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত।
আরও পড়ুনঃ চাকরি-ঠিকা কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই, হাওড়ায় মশাল মিছিল বাংলা পক্ষর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। চিঠিতে লিখেছেন, বাংলায় যত দ্রুত সম্ভব লোকাল ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুক মন্ত্রক। তবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন সাংসদ।
২১ মার্চ থেকে লকডউনের জেরে বন্ধ লোকাল ট্রেন পরিষেবা। শ্রমিক স্পেশ্যাল ও আনলক পর্বে দূরপাল্লার বিশেষ ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু ছন্দে ফেরেনি লোকাল ট্রেন পরিষেবা । শুধুমাত্র কয়েকটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে যেগুলিতে সাধারণ যাত্রীদের সফর নিষিদ্ধ। ফলে অফিস পৌঁছতে এখনও ভরসা সেই বাস পরিষেবা। ফলে কেউ কেউ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই উঠে পড়ছেন স্পেশাল ট্রেনে। রবিবারও এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্ত হয়ে উঠেছিল হুগলির একাধিক স্টেশন।
এরপর সোমবার সকালে লিলুয়া স্টেশনে হাওড়াগামী একটি ট্রেনে চেকিং চালানো হয়। তখন বহু যাত্রী ধরা পড়ে যান, যাঁরা রেলের কর্মী নন। ট্রেন থেকে তাঁদের নামিয়ে ফাইন করা হয়। এতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লিলুয়া স্টেশন।
পুজোর আগে চলবে লোকাল ট্রেন? এ প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানান লকাল চালাতে অসুবিধা নেই রেলের কিন্তু প্রয়োজন রাজ্যের অনুমতির। তাঁর কথায়, “রাজ্যের অনুমতি না পেলে ট্রেন চালানো হবে না। এমনকি অ-রেলকর্মীদের ট্রেনে চড়তে দেওয়া হবে না।” এর আগে বিভিন্ন সময় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য অনুমতি দিলেই আবার চালু হবে লোকাল ট্রেন। কিন্তু করোনা আবহের কথা মাথায় রেখে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিতে পারছেন না সরকার।