নজরবন্দি ব্যুরোঃ বকেয়া ডিএ ও সমস্ত শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে গত ১ মাসের বেশি সময় ধরে কলকাতার শহীদ মিনারের পাদদেশে ধর্না ও অনশন করছে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত কর্মচারীদের ৪২ টি সংগঠনের মিলিত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। সেই ঘটনাকে ঘিরে ক্রমাগত বাড়ছে রাজনৈতিক পারদ। ১০ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। তার আগে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত হলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। সেখান থেকেই রাজ্য সরকারকে আরও একবার তুলোধোনা করলেন আইনজীবী। তাঁর কথায়, শাসক দলের নেতারা এত খেয়েছে চলতে অসুবিধা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Fire in Bangladesh: উখিয়ায় রোহিঙ্গাক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতিগ্রস্ত বিপুল এলাকা
এদিন আন্দোলনমঞ্চ থেকে কৌস্তভকে বলতে শোনা যায়, এখানে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ চাইছে। কারোর বাপের ক্ষমতা নেই তাঁদেরকে না দিয়ে ছাড়বে। ভদ্র লোক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মাছ-মাংস, খাওয়া দাওয়া নিয়ে এত কথা বলছেন, কিন্তু দলের নেতারা এত ঘুষ খাচ্ছে, তা নিয়ে তো একটাও কথা মুখ থেকে বের হয়নি। এরা নয় দু-পাঁচ দিন মাছ মাংস খেতে চাইছে। আপনার দলের নেতারা তো লুটে পুটে খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেছে। এত খেয়েছে জেলে রয়েছে এক মন্ত্রী তার ওঠা চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই চোর মন্ত্রীগুলির খাওয়া কমাতে পারে, তাহলে আমরা কেন্দ্রের থেকেও বেশী হারে ডিএ দিত পারব। মুখ্যমন্ত্রী এই চোরেদের বলুক, কম খা রে বাবা, অনেক খেয়েছিস।

সম্প্রতি ডিএ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, না পোষালে কেন্দ্র সরকারের চাকরি করুন। আমি মনে করি দরকারের চেয়ে বেশী টাকা নেওয়া পাপ। এবিষয়ে আক্রমণ শানাতে পিছপা হলেন না কংগ্রেস নাতা। তাঁর কথায়, ফিরহাদ হাকিম বলছে আপনাদের ডিএ চাইতে লজ্জা করে না? আপনি যদি গেঞ্জি পরে টাকা নিতে লজ্জা না পান তাহলে আমাদের ডিএ চাইতে লজ্জা কেন পাবে?
এত খেয়েছে চলতে অসুবিধা হচ্ছে, শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ কৌস্তভের

আগামী ১০ তারিখ আন্দোলনরত কর্মচারিদের সংগঠনের তরফে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে বামেরাও। শনিবার বামফ্রন্টের ডাকা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারমায়ন বিমান বসু। আগামী দিনে ডিএ ইস্যুতে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।