নজরবন্দি ব্যুরো: তোষাখানা মামলায় কয়েক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত। মঙ্গলবার সেই রায় খারিজ করে দিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। অবশেষে জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন ইমরান খান। গত সোমবারই আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছিল।
তোষাখানা মামলার শুরু থেকেই ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। দাবি করা হয়েছিল, পাক সরকারকে বিভিন্ন রাষ্ট্রের তরফে যে উপহারগুলি পাঠানো হয়েছিল সেগুলি তোষাখানায় জমা না করে বিপুল অর্থের বিনিময় বিক্রি করে দিয়েছেন কিংবা নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন ইমরান খান। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদের অপব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আইনানুযায়ী বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা যে উপহার দেবেন সেগুলিকে পাক তোষাখানায় জমা করতে হবে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা শুরু হয়েছিল।
অভিযোগ খারিজের দাবিতে গত বছর অক্টোবর মাসে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান খান। তবে তখন তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ইসলামাবাদের উচ্চ আদালত। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে বলা হয়, আগামী ৫ বছর তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়াও তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাস জেলে থাকতে হবে বলে জানিয়েছিল আদালত।
অন্যদিকে,তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের সাজা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করার বিচারপ্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ ছিল। যদিও তারা কোনও হস্তক্ষেপ করতে চায়নি। হাইকোর্ট কী রায় দেয় সেই অপেক্ষায় ছিল, এদিন হাইকোর্টের রায়ের পর রাজনীতির ময়দানে ফেরায় যে আর বাধা রইল না একথা বলা বাহুল্য।