নজরবন্দি ব্যুরোঃ সোমবার সকালে রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদ মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই খবরে রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জনপ্রতিনিধিদের গ্রেফতার করার খবর পৌঁছয় অধ্যক্ষের কাছেও।
আরও পড়ুনঃ ফের উত্তপ্ত উপত্যকা, আধা সেনার গুলিতে নিকেশ ২ ‘আল বদর’ জঙ্গি।
আর এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠে নারদা কাণ্ডে এইভাবে রাজ্যপালের অনুমোদনে বিধায়কদের গ্রেফতার আদৌ কতটা বৈধ? এই বিষয়টির ক্ষেত্রে সিবিআই ধাপে ধাপে তদন্ত এগিয়েছেন। যেমন তৎকালীন মন্ত্রিসভার চার মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চেয়েছিল সিবিআই। সম্প্রতি রাজ্যপাল নারদ কাণ্ডে চার জন অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমোদন দেন।
বিধানসভার নিজস্ব সংবিধানের ৩৫২ ও ৩৫৬ নম্বর ধারায় অধিবেশন থাকলে অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে যেহেতু অধিবেশন ছিল না ফলে রাজ্যপালের ছাড়পত্রই যথেষ্ট। অপর দিকে ”ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যয়। কারণ, কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, কাউকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা।
আদালত জানতে চাওয়ায় আমি বলেছিলাম, আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। আমাদের কাছে এ বিষয়ে সিবিআই কিছু জানতেও চায়নি। কোনও চিঠিও দেয়নি।” বিমান বাবু স্পষ্টই ভাষাতেই বলেছেন, ”এই বিষয়ে অবশ্যই আমার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল হাইকোর্টে সে কথা জানিয়েও দিয়েছিলেন।”