নজরবন্দি ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের কিছুদিন আগে নবান্ন ও দিল্লিতে জোড়া চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু তাতে কী লেখা ছিল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন তাঁকে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এবার রাজভবনের তরফে পাঠানো চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে এনিয়ে কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এবার মদনের এলাকায় ED হানা, নথি চেয়ে কামারহাটি পুরসভার ৩৪ জনকে তলব
এদিন সাংবাদিকদের সামনে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে উঠে আসে গোপন চিঠি প্রসঙ্গ। রাজ্যপাল বলেন, “দুটি চিঠির উত্তর পাওয়া নিয়ে পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তা দুই সাংবিধানিক সহকর্মীর মধ্যে থাকাই বাঞ্ছনীয়। তবে ওই চিঠি দুটো আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গিয়েছে।” অর্থাৎ চিঠির ইতিহাস এখন রহস্য। বিগত কিছু সময় ধরেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দুতরফের সংঘাত জটিল রূপ নেয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর রাজ্য চালিত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু দেখা যায় হাতে গুনে মাত্র ১২ জন রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ রাজ্যপাল অনুমোদন না দেওয়ায় আসতে পারেননি তাঁরা। এরপরই সিভি আনন্দ বোসকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজ্যপাল ও দিল্লিতে দুটি চিঠি পাঠান রাজ্যপাল। তার আগেই কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, “আজ মধ্যরাতে কী করি দেখুন।” ওইদিন রাতেই ঘড়ির কাটা ১২-র ঘর ছোঁয়ার আগেই জোড়া চিঠি গেল নবান্নে ও দিল্লিতে।
চিঠি নিয়ে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছেন। এখন তাঁকে টেনশন দিতে চাই না। তিনি ফিরে এলে আলোচনা করা যাবে।” যদিও এই চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিদেশ সফরের জন্য শুভকামনা জানিয়েছিলেন। যদিও এই জোড়া চিঠি নিয়ে জল্পনা এখনও ফুরোয়নি।
‘চিঠি আর মিস্ট্রি নয়, হিস্ট্রি হয়ে গেছে’, মধ্যরাতে পাঠানো গোপন চিঠি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল
