নজরবন্দি ব্যুরোঃ যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেফতারের পরেই মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল দাবি করেছিলেন কুন্তলের সঙ্গে ওপর মহলে আরও যোগাযোগ রয়েছে। এবার কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্ফোরক তথ্য পেল তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, চাকরি প্রার্থীদের টাকা নিজে নিতেন না বলেই দাবি করেছেন কুন্তল। বরং ১০ শতাংশ কমিশন তাঁর কাছে যেত বলেই দাবি করেছেন তিনি। টাকার অঙ্ক দেখে চোখ কপালে ওঠার মতো।
আরও পড়ুনঃ ‘শাহরুখকে চিনি না’, অসমের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই এই কাজ করলেন বাদশা
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ডিএলএডে ভর্তি ছাড়াও, উচ্চ প্রাথমিক, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি নিয়োগেও টাকা নিয়েছিল কুন্তল। ২০১৬ সাল থেকেই চলত এই কাজ। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই যে পরিমাণ টাকা নেওয়া হয়েছে, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারী সংস্থার। তাহলে বাকি ৯০ শতাংশ কমিশন পেল কে? সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি ইডির তরফে।
শনিবার কুন্তলকে গ্রেফতারের পর আদালতে পেশ করা হয় যুব তৃণমূলের নেতাকে। সেখানে আদালতের কাছে ইডির আইনজীবী জানায়, ১৯ কোটি নয়, ৩০ কোটি টাকা নিয়েছে কুন্তল। প্রথমে দুর্নীতির বহর দেখে ভারত মহাসাগর মনে করা হলেও এখন সেটা দেখে প্রশান্ত মহাসাগর মনে হয়েছে।
১০ শতাংশ কমিশন তাঁর কাছে যেত, বাকি টাকা পেত কে?
ইডি সূত্রে খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছে প্রাথমিকে চাকরির জন্য প্রায় ১১ কোটি টাকা, আপার প্রাইমারির জন্য ৩০ কোটি টাকা নিয়েছিল সে। এমনকি টেট পাশ করানবোর জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা নিয়েছিল কুন্তল। এছাড়াও রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগ এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি রয়েছে। তবে ইডি সূত্রে খবর, আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা আরও বাড়তে চলেছে। আরও অনেক তৃণমূলের নেতার নাম জড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।