নজরবন্দি ব্যুরো: কৃষি বিল বাতিলে অনড় কৃষকরা, ব্যর্থ ১১ তম বৈঠকও । একমাসের বেশি সময় ধরে প্রচন্ড ঠান্ডায় দিল্লির রাজপথে কৃষি আইন বিলের বিরোধীতা করে আন্দোলনে বসেছেন দেশের কৃষকরা। আন্দোলনের রেশ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষক থেকে অন্য শ্রেণীর মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষকদের। কৃষকরাও অনড় নিজেদের আন্দোলনে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের সাথে ১১ তম বৈঠক করলো কৃষকরা। এবং আগের ১০ বারের মত এই বৈঠকও কোনো নির্দিষ্ট সমাধান দেয়নি।
আরও পড়ুন: জাতীয়তাবাদের জাগরণে এ. পি. সি. পার্ক অ্যাসোসিয়েশন পালন করছে ‘নেতাজী দিবস’
দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্রের সঙ্গে টালবাহানা চলছে কৃষকদের। কৃষি আইন ৩ বিল প্রস্তাব ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আন্দোলনে বসেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে ষষ্ঠ বৈঠকের আগে দেশের একাধিক বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক বিশিষ্ট ব্যাক্তি চিঠি দেন কৃষকদের, কৃষি আইন বিলের সমর্থনে। তাতেও টলেনি আন্দোলন। এবার ১০ তম বৈঠকও দিনের শেষে নিস্ফলা হয়ে উঠে এলো। শুক্রবারের বৈঠকে কেন্দ্র প্রস্তাব দেয় কৃষকরা চাইলে দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখবে কৃষি আইন বিল। কিন্তু তাতে কার্যত নারাজ কৃষকরা। তাঁরা স্থগিতাদেশ চাননা, চান এই বিল উঠিয়ে নিক কেন্দ্র।
এই দিন বৈঠক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি নরেদ্র সিং তোমার জানিয়েছেন কৃষকরা নিজেদের ভালো বুঝছেন না নিজেরাই। কৃষি মন্ত্রী জানিয়েছেন কেন্দ্রের তরফে যা জানানোর জানানো হয়েছে, কৃষিদের পাশে যদি অন্য কোনো ভালো প্রস্তাব থাকে,কেন্দ্রকে জানাক কৃষকরা। অল ইন্ডিয়া কিষান সভার হান্নান মোল্লা জানান, শুক্রবার মাত্র ১৫-২০ মিনিটের জন্য বৈঠক করে কেন্দ্র। তাতে কোনো সুরাহা হয়নি। সরকার জানিয়েছে যতটা করার কেন্দ্র করছে, এরপর আলোচনার জন্য চাইলে আজ দুপুরের মধ্যে কৃষকরা জানাক কেন্দ্রকে।
কৃষি বিল বাতিলে অনড় কৃষকরা, ব্যর্থ ১১ তম বৈঠকও । যদিও এরপরেও কৃষকরা কোনো সমঝোতার পথে হাঁটছেন না। চারদিকের পরিস্থিতিতে ৫ শতাংশ কৃষক ভেঙে পড়লেও, বাকি ৯৫ শতাংশ এখনো জোট বেঁধে আছেন।আছেন একত্রিত ভাবে। কেন্দ্র আইন বাতিল না করা পর্যন্ত থামবেনা আন্দোলন। প্রয়োজনে যাবেন আরো তীব্র আন্দোলনে। ২৬ তারিখে ট্রাক্টর র্যালি করে দিল্লির রাজপথে আসবেন তাঁরা। বার্তা দেবেন কড়া আন্দোলনের।