নজরবন্দি ব্যুরোঃ সময় যতই গড়াচ্ছে পেঁয়াজের খোসার মতো বের হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত একাধিক তথ্য। গতকাল একটি মামলায় ভুয়ো সুপারিশ পত্র এবং ভুয়ো নিয়োগ পত্র দিয়ে চাকরির অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তাঁর কথায়, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকরা।
আরও পড়ুনঃ Anubrata Mondal: ১৭৭ টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রয়েছে অনুব্রতর যোগ, আপাতত জেলেই রাত কাটবে
এদিন বিচারপতি বলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শকরা যুক্ত না থাকলে এই ধরনের দুর্নীতি হতে পারে না। একজন ভুয়ো শিক্ষক ২-৩ বছর চাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন। জেলা স্কুল পরিদর্শকরা না জানলে কীভাবে এটা সম্ভব? বুধবারই সিআইডি ডিআইজিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন তাঁর উপস্থিতিতে মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেন বিচারপতি। সিআইডি ডিআইজির নেতৃত্বে বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত হবে।
পাশাপাশি আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। ২০১৬ সাল থেকে যতজন শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছে, সকলের তথ্য যাচাই করা জরুরী বলেই মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের গোথা এ আর হাইস্কুলে প্রধানই শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি কয়েক বছর ধরে ভুগোলের শিক্ষক হিসেব কর্মরত রয়েছেন তিনি। এক চাকরি প্রার্থী আরটিআই করে জানতে পারেন ভুগোলের বিষয়ে পরীক্ষা দেননি ওই শিক্ষক। এমনকি তাঁর নামের কোনও সুপারিশ করা হয়নি।
আরটিআই করে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা গেছে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় অরবিন্দ মাইতির নামে আরও এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র নকল করে চাকরি পেয়েছেন ওই ভুগোলের শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারি। যা দেখেই হতবাক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকরা, সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বিচারপতির মন্তব্য, এই ধরনের ঘটনা আর কত ঘটেছে? যাকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁর তথ্য বিকৃত করা হয়েছে। ছাত্রদের ভবিষ্যত কী? এই মামলার তদন্ত করুক সিআইডি। এমনটাই নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি এবিষয়ে সিআইডি তদন্ত করবেন কি না, তা জানাতে হবে আদালতকেই। একইসঙ্গে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। একই সঙ্গে ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।