নজরবন্দি ব্যুরো: রাজ্যে করোনার মতোই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। বর্ষার জমা জল প্রবণতা বেড়ছে এরফলে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এরফলে বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাজ্যের পরিকাঠামো যথাযথ রয়েছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই আজ নবান্নের তরফে মুখ্যসচিব বলেন, আরও টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে খাল পরিষ্কারে জোর দেওয়া হচ্ছে আগামিকাল থেকেই ।
আরও পড়ুনঃএকাধিক নথিপত্র নিয়ে ৪৫ মিনিট বৈঠকে মোদি-মমতা, কী নিয়ে আলোচনা?
উল্লেখ্য, গত বছরের থেকে এই বছর ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। শহরের থেকে গ্রামে এর প্রকোপ বেশী সংক্রমণ ধরা পড়ছে জলপাইগুড়ি, হাওড়া, হুগলিতে এখনও পর্যন্ত বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে রাজ্যের দাবি মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্রেরও একটা ভূমিকা থাকে। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে এব্যাপারে কেন্দ্র থেকে কার্যত কোনও আর্থিক সহায়তা পায়নি রাজ্য । সেকারণে এবার অর্থ সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নবান্ন।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত তিনবছর ধরে রাজ্য সরকার একেবারে নিজেদের উদ্যোগে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় কাজ করছে। এজন্য প্রতিবছর প্রায় ৭০০ কোটি টাকা করে খরচ হয়। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারেরও অর্ধেক আর্থিক সহায়তা সাধারণত করে থাকে। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে কেন্দ্র থেকে এব্যাপারে কোনও আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এর জেরে এবার বকেয়া অর্থ চেয়ে ফের কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
ডেঙ্গি প্রতিরোধে খাল পরিষ্কারে জোর, জানালেন মুখ্যসচিব

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৭ হাজার ৯২৮জন। ২৫জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ২০২০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়। সেবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ১৯৫জন।
গতবছর মৃত্যু হয়েছিল ১০জনের। এদিকে চলতি বছরের ১৬ই জুন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২৩৪ জন। উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবারই শহরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। জ্বরে অসুস্থ অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিল কালীঘাট এলাকার ওই স্কুল পড়ুয়া। গতকাল মৃত্যু হয় তার।