নজরবন্দি ব্যুরোঃ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে দুই পক্ষের মধ্যে বৈঠক। শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে জর্জরিত সরকার। একাধিক নথিপত্র নিয়ে ৪৫ মিনিট বৈঠকে মোদি-মমতা। এর মধ্যে কী বিষয়ে আলোচনা হল দুই পক্ষের মধ্যে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ রাহুল-রুদ্রনীলের ছবি স্থান পেলনা নন্দনে, মুখ খুললেন দুই নায়ক
সূত্রের খবর, মূলত রাজ্যের বকেয়া টাকা ফেরত চাইতেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থিত হয়েছেন । এর জন্য একাধিক নথিপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেটা মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প বাবদ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বাকি রয়েছে। সেই টাকাম আদায়ের কথা এদিন প্রধানমন্ত্রীড় কাছে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে একাধিক ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য দিল্লিতে দরবার করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এজকের বৈঠকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া ৭ হাজার কোটি টাকার কথা উঠে আসতে পারে বলেমনে করা হচ্ছে। এছাড়াও জিএসটি বাবদ বহু টাকার আদায়ের কথাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুধুমাত্র আজ নয়, আগামী তিন দিন দিল্লিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত হবে প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু তার আগতে এই একান্ত বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে বিরোধীরা।
একাধিক নথিপত্র নিয়ে ৪৫ মিনিট বৈঠকে মোদি-মমতা, আলোচনার বিষয় কী?

বাম-কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, অতীতে, সারদাকাণ্ডে সিবিআই যখন একের পর তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করেছে তখনই দিল্লি গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ২০১৯ সালে সিবিআই যখন হন্যে হয়ে রাজীব কুমারকে খুঁজছে, তখনও দিল্লিতে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে সরব হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীও। সেই আবহের মধ্যে আজ বৈঠকে মোদি-মমতা।