নজরবন্দি ব্যুরো: বিবাহিত হওয়ার পরও অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে বিচ্ছেদের পর কিংবা কোনও কারণেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যাবে না। সম্প্রতি এক মামলার ভিত্তিতে এমনই তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এই মামলায় কী জানালেন বিচারপতি?
আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবন হল মোদী মাল্টিপ্লেক্স! নতুন সরকার এলে ‘বদলের’ ইঙ্গিত কংগ্রেসের
জানা যায়, লিভ ইন সম্পর্কের দুজনই অন্য পুরুষ ও নারীর সঙ্গে বিবাহিত ছিলেন। পরবর্তীকালে সেই মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁর লিভ ইন পার্টনার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। মামলার পর প্রকাশ্যে আসে যে অভিযোগকারীণী বিবাহিত, তাঁর বিচ্ছেদের মামলা চলছে। কিন্তু পুরুষটি প্রাথমিকভাবে নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেছিলেন। দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, বিবাহিত হয়ে অন্য কারও সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থেকে তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারে না মহিলারা।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা বলেন, “যদি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক অবিবাহিত ব্যক্তি কারও সঙ্গে এই বিশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারেন, সে ক্ষেত্রে মনে করা যেতে পারে যে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ওই মানুষটি কারও সঙ্গে বিবাহের সম্পর্কে থাকলে এই বিবাহের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির যুক্তি কার্যকর হতে পারে না।”
হাইকোর্টের অভিমত, অন্য ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক কোনও মহিলা এই ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা দাবি করতে পারে না। অবিবাহিত বা ডিভোর্সি মহিলা অথবা যারা বৈবাহিক সম্পর্কে জুড়তে পারবেন এমন ক্ষেত্রেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যেতে পারে। বিচারপতি বলেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী এই সুরক্ষা বা নিরাপত্তা সেই দাবি করতে পারেন যিনি আইনত ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করার পরিস্থিতিতে রয়েছেন। আইনত বিয়ে করতে পারেন না এমন কেউ এই সুরক্ষার দাবিদার নন।”
লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারবে না বিবাহিত মহিলা, কোন মামলায় এমন রায়?
