নজরবন্দি ব্যুরো: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড় বাংলা! দুর্নীতির দায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি মামলায় রহস্য সমাধানে মন্ত্রী ঘনিষ্টদের তলব করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। এই তালিকায় নাম জড়িয়েছে বালুর আপ্তসহায়কদেরও। এহেন পরিস্থিতিতে ফের প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: এখনই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ, হাইকোর্টে স্বস্তি বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর
যেই তিনটি সংস্থার মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হত, সেই গুলির সঙ্গে যোগ রয়েছে বালুর মেয়ের। ইডির জেরায় এমনটাই স্বীকার করেছেন রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ে। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র মেয়েকে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি যখন ডক্টরেট করছিলেন, সেই সময় ওই সংস্থাগুলির তৈরি নথি তিনি দেখেছিলেন। যদিওবা এর আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন, ওইসব সংস্থার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।

কিন্তু এর আগেই কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হত, ইডির কাছে তা ফাঁস করেছিলেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের পরিচিত এক মিল মালিক। তখনই জানা গিয়েছিল যে, কালো টাকা সাদা করার জন্যই তিনটি সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল। আর ওই সংস্থার গুলিতে মন্ত্রীর স্ত্রী, মেয়ে এমনকী পরিচারককেও ডিরেক্টর করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর আগে জেরায় বালুর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস জানিয়েছিলেন যে, মন্ত্রীর ইচ্ছেতেই সবটা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশেই মা ও স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল।”
ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমের কালো টাকা সাদা করা হত, স্বীকার রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের
কিন্তু তদন্তের শুরুতেই মন্ত্রীর বর্তমান আপ্ত-সহায়ক অমিত দে-ও অভিযোগ করেছিলেন, যা জানেন সব প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ। শুধু তাই নয়, এই অভিজিতের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল মেরুন ডায়রি। এপ্রসঙ্গেই জ্যোতিপ্রিয়ের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস বলেছিলেন, “আমি জ্যোতিপ্রিয়বাবুর কাছে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি। সেই সময় মন্ত্রীর অনুরোধ আমি ফেরাতে পারিনি। তাঁর নির্দেশেই আমার মা এবং স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। আর মন্ত্রী যখন নির্দেশ দিয়েছিলেন তখন আমি তা পালনও করেছিলাম। কিন্তু ওই সংস্থা গুলির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ২০১৪ সালেই যখন আমি বেরিয়ে আসি তখনই আমার মা এবং স্ত্রী সংস্থা থেকে সরে আসেন।”