নজরবন্দি ব্যুরোঃ তিনি বিজেপি (BJP) ছাড়ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। মিডিয়ার জল্পনা খারিজ করে দেওয়ার বদলে, মাঝেমধ্য়ে তা উস্কে দেওয়ার কাজই করে আসছিলেন অর্জুন। শেষ মেশ রবিবারের বারবেলায় তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুনের। পদ্মশিবিরে তিন বছর দু’মাস আট দিন ঘর করে, পুরনো সংসারেই ফিরলেন তিনি। আর তা নিয়েই সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তীব্র কটাক্ষ করলেন ট্যুইটারে।
আরও পড়ুনঃ নজরবন্দির খবরে সিলমোহর, অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন অর্জুনের।
এমনিতেই বামেরা তৃণমূল এবং বিজেপিকে একই বৃন্তের দুইটি কুসুম বলে আখ্যা দেন। সিপিআইএম নেতাদের গলায় মাঝেমধ্যেই শোনা যায় বিজেপি তৃণমূল কেন ভাই ভাই সেই গল্প। নির্বাচনের আগে হোক বা পরে, সুজন – সেলিমরা বারে বারেই বলে আসেন দিদিভাই-মোদিভাই সেটিং-এর কথা। এদিকে বিধানসভা নির্বাচনের সময় দেখা গিয়েছে তৃণমূল বনাম বিজেপির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

বিজেপি-তৃনমূল দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের লড়াইয়ের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল বামেদের যাবতীয় প্রতিরোধ। বিধানসভায় শূন্য বামেরা হারিয়েছিল ন্যুনতম বিরোধীতার যায়গা। তৃণমূল কে পরাজিত করার লক্ষ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিয়েছিল পদ্ম শিবিরে। কিন্তু সেই কর্মী সমর্থদের মাথায় নেতা হয়ে বসেছিলেন তৃণমূলের নেতারাই। মুকুল-অর্জুন-সব্যসাচী-শুভেন্দু-রাজীবরা ফুল বদলে হয়েছিলেন বিজেপি নেতা।
কিন্তু ২০২১ সালে যখনই তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরল তখন থেকেই ঘর ওয়াপসি শুরু হয়েছে এই সব নেতাদের। মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দোপাধ্যায়… আর আজ অর্জুন সিং। সবাই নিজের ভুল বুঝতে পেরে বাংলার স্বার্থে যোগ দিয়েছেন নিজেদের পুরনো দলে। আর তা নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। একটি ট্যুইটে সুজন লিখেছেন, ‘হরেক কিসিমে’র তামাশা’ই বটে।। “ক্রিমিনাল” যখন “সম্পদ” হয়ে যায়, তখন মুখ্যমন্ত্রী কি মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না!!’
‘এপাং ওপাং ঝপাং’, অর্জুনের তৃণমূল প্রত্যাবর্তনে তীব্র কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর।
হরেক কিসিমে’র
তামাশা'ই বটে।।"ক্রিমিনাল" যখন
"সম্পদ" হয়ে যায়,
তখন মুখ্যমন্ত্রী কি
মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না!! pic.twitter.com/wMSIo4WCkT— Dr.Sujan Chakraborty (@Sujan_Speak) May 22, 2022