নজরবন্দি ব্যুরোঃ করোনা নিয়ে আতঙ্ক যখন প্রায় নিম্নমুখী তখন হঠাৎই রূপ বদল করেছে ভাইরাস। আর তারপরই একেবারে মহামারির মতো চীন প্রদেশকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে এই মারন ভাইরাস। সারা বিশ্বের জন্য ত্রাস হয়ে উঠেছে করোনার নতুন প্রকরণ বিএফ.৭। কিন্তু কেন এতো বেশী ভয় বিএফ.৭কে? কেন এতে মৃত্যুর হার বেশি? আসলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুসফুস নয়, মস্তিষ্কে বাসা বাঁধছে এই মারণ ভাইরাস।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর সফরকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার, বিরাট পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের
বিজ্ঞানীদের অনুমান আগেই ছিল। করোনার এই প্রজাতি বিএ.৫ এর পরিবর্তিত রূপ। এই বিএ.৫ প্রজাতির সংক্রমণেই মস্তিষ্কে জটিল রোগ হচ্ছিল বলে একসময় দাবি করা হয়েছিল। তবে এবার আর সন্দেহ নয়, গবেষকের মতে সরাসরি ব্রেনে গিয়ে হামলা করতে পারে এই ভাইরাস। সাউথ চিন মর্নিং পোস্টের এই দাবিতে রীতিমত হতবাক বিশ্ব। স্নায়ুর কোষ কে একেবারে কুরে কুরে শেষ করে দেবে।
বিজ্ঞানীরা নাকি দেখেছেন, এই উপপ্রজাতির সংক্রমণে স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অধিকাংশ রোগীই। ব্রেন ডেথের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমন মৃত্যুর মুখ থেকে যারা ফিরে আসছেন তাঁদের হ্যালুসিনেশন হচ্ছে, ডিমেনশিয়া হচ্ছে। ফলে স্মৃতিশক্তি নাশের আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।
স্নায়ুর কোষকে একেবারে কুরে কুরে শেষ করে দেবে, করোনা বিএফ.৭ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি বিশেষজ্ঞদের
চিনে এমন ঘটনা ঘটেছে আগেই, সেখানে মৃত্যুর হার বেশী হওয়ার জন্য এই কারণকেই দায়ী করছে বিজ্ঞ্নীরা। ভাইরাসের সংক্রমণে অনেক রোগীরই মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছিল। রক্ত জমাট বাঁধতে দেখা গিয়েছিল মস্তিষ্কে। সেই কারণে বেড়েছিল জটিল রোগের ঝুঁকি, বেড়েছিল ম্রৃত্যুর হার। বিজ্ঞানীদের দাবি, বিটা-করোনাভাইরাসের কোনও প্রজাতির মধ্যে আগে এমন ক্ষমতা দেখা যায়নি। তবে এই ভাইরাস আগের প্রকরনের থেকেও মারাত্মক তা নিয়ে সন্দেহ নেই।