নজরবন্দি ব্যুরোঃ ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্সি জেলে আত্মহত্যার মামলায় ‘দোষী’ কুণাল ঘোষ। তবে সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে কোনও শাস্তি ঘোষণা করল না আদালত।
আরও পড়ুনঃ আদিবাসী মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় চড়ছে পারদ, ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন সুকান্ত
এদিন এমএলএ, এমপি আদালতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ সম্পর্কে বিচারপতি মনোজ্যোতি ভট্টচার্য বলেন, আত্মহত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও শাস্তি দেব না। বিচারপতি আরও বলেন, শুধু বলব আপনি যে লড়াই করছেন করুন। যত অবসাদ হোক, আত্মহত্যা সমাধানের রাস্তা হতে পারে না। আপনি একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। আপনি মামলা আইনের লড়ুন কাজ চালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক তছরুপের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেবছরেই ১৩ নভেম্বর জেলে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা কুণালের পেটে প্রচুর ঘুমের ওষুধ পান। সেই সময়েই পুলিশ কুণালের বিরুদ্ধে জেলের ভিতরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়।
সেই মামলায় পুলিশ এবং জেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছে। কুণালের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ছিল না বলেও দাবী করেন বিচারপতি। মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা আর্থিক জরিমানা হতে পারত কুণালের।
আত্মহত্যার মামলায় ‘দোষী’ কুণাল, মিলল বিচারপতির তিরস্কার
এদিন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বারবার নাটক এবং অজুহাতের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এখন তা প্রমাণিত হয়ে গেল। বিচারক আমাকে একটু তিরস্কার করেছেন।