নজরবন্দি ব্যুরোঃ পৃথিবীকে বাঁচাতে একজোট চিন-আমেরিকা, অবাস্তব? না মোটেই অবাস্তব নয়। কারন পৃথিবীর সামনে এখন বিরাট বিপদ। বিপদ এততাই ভয়াবহ যে, শেষ হয়ে যেতে পারে সমগ্র মানব সভ্যতা। এককালে এমনই এক বিপর্যয়ের ফলে পৃথিবী থেকে মুছে গিয়েছিল ডাইনোসরের অস্তিত্ব। এখন প্রায় একই ধরনের বিপদ আবার পৃথিবীর সামনে।
আরও পড়ুনঃ আজই আছড়ে পড়বে সৌর ঝড়, ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীর ওপর।
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এক অতিকায় গ্রহাণু। বিজ্ঞানীদের অনুমান সেটিও ওজন প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টন। আয়তন প্রায় দেড় হাজার ফুট। বিপুল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই অতিকায় গ্রহাণু। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘বেন্নু’। বিজ্ঞানীদের আন্দাজ, অ্যাস্টারয়েড ‘বেন্নু’ যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে তাহলে তাঁর প্রলয়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সম্পূর্ণ মানব সভ্যতা।
বলা হচ্ছে জাপানের হিরোশিমা তে যে পরমানু বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার ৮০ হাজার গুণ বিস্ফোরণ ঘটাবে ‘বেন্নু’ নামক মহা দৈত্যকার গ্রহাণু। পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে যা প্রলয় ঘটবে তার পরিমাপ হবে ৮০ হাজার পরমানু বোমা একসাথে বিস্ফোরনের সমান। তাই মহাকাশেই সেই গ্রহাণু কে পথভ্রষ্ট করে, পৃথিবীকে বাঁচাতে একজোট চিন-আমেরিকা।
চিনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘চায়না ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সেন্টার’-এর বিজ্ঞানীরা ওই ধেয়ে আসা অতিকায় গ্রহাণুটির অভিমুখ পৃথিবী থেকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে মহাকাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটাতে চাইছেন ব্যাপক শক্তিশালী ২৩ টি রকেট পাঠিয়ে। সর্বাধুনিক লং মার্চ-৫ রকেট, যার ওজন ৯০০ কেজি। সেই রকেট পরপর ২৩ বার আঘাত হানবে ‘বেন্নু’ গ্রহানুর বক্ষে। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হবে তার।
এদিকে পিছিয়ে নেই আমেরিকার নাসাও। তারাও চিনের মতই রকেট ছুঁড়ে এই গ্রহাণুর পথ ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। নাসার প্রকল্পটির নাম ‘হ্যামার’। তারাও প্রস্তুত করছে ৩০ টি রকেট। এদিকে নাসা ইতিমধ্যেই ওই গ্রহানুতে মহাকাশযান পাঠিয়ে মাটির নমুনা নিয়ে এসেছে। গবেষনা চলছে ঠিক কি পদার্থ দিয়ে তৈরী ওই গ্রহাণু।
পৃথিবীকে বাঁচাতে একজোট চিন-আমেরিকা
বিজ্ঞানীদের অঙ্ক অনুযায়ী ২১৭৫-২১৯৯ সালের মধ্যে ওই গ্রহাণু চলে আসবে পৃথিবীর ৭৫ লক্ষ্য কিলমিটারের মধ্যে। তখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষন শক্তি তাঁকে সোজা টেনে নিতে পারে পৃথিবীর বুকে। তাই সেই সম্ভাবনা যাতে তৈরী না হয়, সেকারনেই রকেট হানার প্রস্তুতি নিয়েছে চিন এবং আমেরিকা।