নজরবন্দি ব্যুরোঃ পড়ুয়াদের কথা না ভেবে কে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিল, তা জানার সময় এসে গেছে। ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার একথা বলে জল্পনা বাড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ভুল শোধরানোর জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৭ দিনের সময় দিয়েছেন বিচারপতি। গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে, তা ৩১ জানুয়ারির মাসে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ SSC-TET Scam: কুন্তলের তিনটি পেনড্রাইভের দিকে নজর, কী খুঁজছে ইডি?

স্কুল সার্ভিস কমিশনের সাড়ে ৪ হাজার উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটের সন্ধান গাজিয়াবাদে মিলেছে। সেই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোডের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে যে সমস্ত শিক্ষক টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে, সেই সমস্ত শিক্ষাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কালপ্রিটদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

কে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিল? প্রশ্ন বিচারপতির 
কে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিল? প্রশ্ন বিচারপতির

কমিশনের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি যে হয়েছে, সেটা পরিষ্কার। তাহলে সবটা জেনেও কেন দুর্নীতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কেন অপেক্ষা করা হচ্ছে? প্রশ্ন বিচারপতির। কর্মীর অভাবে যদি অযোগ্যদের চাকরি না কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে নতুন করে নিয়োগ করা হোক। দ্রুত নিয়োগ নিয়ে কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সেটা জানতে চেয়েছেন বিচারপতি।

কে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিল? প্রশ্ন বিচারপতির 

কে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিল? প্রশ্ন বিচারপতির 
কে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিল? প্রশ্ন বিচারপতির

উল্লেখ্য, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য ছিল, কমিশনের কাজে ভুল হয়ে থাকলে, তা শুধরে নিতে নিজেদেরই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, কমিশনের কাছে সব তথ্য রয়েছে। কোনটা ঠিক বা কোনটা ভুল সেটা তাঁরা ভালো করে জানে। একইসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, শিক্ষকদের খুঁজে বার করে তাঁদের বাতিল করুন। তা হলে সিবিআইয়ের প্রয়োজন হবে না। কমিশন নিজের ক্ষমতা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করুক।