নজরবন্দি ব্যুরোঃ ঝালদা পুরসভা নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। কাউন্সিলর পদ খারিজ নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝালদার শীলা চট্টোপাধ্যায়। এবিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তিনি। শুক্রবার আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকবেন পূর্ণিমা কান্দু। ফলে ঝালদা পুরসভা নিয়ে হাইকোর্টে বিরাট ধাক্কা রাজ্যের।
আরও পড়ুনঃ BJP: দুর্গাপুরে দুই দিনের বৈঠক, বড়সড় পরিকল্পনা বিজেপির
উল্লেখ্য, ঝালদা পুরসভাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। মূলত বিবাদ শুরু হয়েছিল নির্দল কাউন্সিলরদের নিয়ে। কারণ, তাঁরা কখনও কংগ্রেস, আবার কখনও তৃণমূলকে সমর্থন করতেন। যা নিয়ে দীর্ঘ সমস্য ধরে টানাপোড়েনের পর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, পুরভোটের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নজর কেড়েছিল ঝালদা পুরসভা। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর সেই ঝালদা পুরসভা এখন রাজ্য রাজনীতির নজরে। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল ও কংগ্রেস ৫ টি করে আসনে জয়লাভ করে। বাকি দুটি জেতে নির্দল। সেখানে প্রথমে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করে। পরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল বিরোধীরা।
গত নভেম্বর মাসে তৃণমূল পুর প্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস সহ নির্দলের কাউন্সিলররা। পরবর্তীতে নতুন পুরপ্রধান বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জটিলতা আরও বাড়তে শুরু করেছিল। ২১ নভেম্বর কংগ্রেস আস্থাভোটে সংখায় গরিষ্ঠতা প্রমাণ করে। তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করেন নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায়। পরে সাত কাউন্সিলরের সমর্থনে ৩ ডিসেম্বর পুরপ্রধান পদে নির্বাচিত হন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
ঝালদা পুরসভা নিয়ে হাইকোর্টে বিরাট ধাক্কা রাজ্যের, বিরাট ঘোষণা
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ঝালদার চেয়ারম্যান পদ নির্বাচন নিয়ে রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেখানে একগুচ্ছ নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়। শীলাকেই চেয়ারম্য়ান হিসাবে ঘোষণা করেন কংগ্রেস। পূর্ণিমা কান্দুকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদই খারিজ করে দেন। কারণ, আগেই ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন। সেখানে দাবি করেছিলেন, শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদটি থাকবে না। বুধবার সেই নির্দেশের পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা।