নজরবন্দি ব্যুরো: ভোটের শুরু থেকেই রাজ্যে অশান্তির ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হলেও সুফল মেলেনি। এদিকে সেই বাহিনীকে লক্ষ্য করেই এলোপাথাড়ি বোমাবাজি হয়। পাল্টা গুলি চালায় জওয়ানরা। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নদিয়ার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। অশান্তির কারণে ভোট দিতে যেতে পারছেন না ভোটাররা।
এদিন হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুথ কেন্দ্রে তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, সকাল থেকেই হিংসার ঘটনা ঘটছে। এলাকায় বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় বাহিনীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। আত্মরক্ষার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। গুলি ও বোমার সংঘর্ষের জেরে আতঙ্কে স্থানীয় ভোটাররা। এমনিতেই আজ রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছে বাংলা। ব্যালট পেপারে আগুন, বোমাবাজি, ব্যালট বাক্স লুট, ব্যালট পেপারে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থকেরা খুন হচ্ছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন অশান্তির ঘটনায় প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের হিসেব চাইল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলায় জেলায় কোন কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, তার হিসেব পেশ করতে হবে। বুথগুলিকে স্পর্শকাতর এবং স্পর্শকাতর নয়, এই দুইভাগে ভাগ করে তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর হিসেব চাইতে কেন সাড়ে চার ঘণ্টা লেগে গেল?’
পঞ্চায়েতে ব্যাপক হিংসার অভিযোগ নিয়েই এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতর ঘেরাও করে বিজেপির যুব মোর্চা। তাঁদের অভিযোগ, নিরপেক্ষভাবে ভোট পরিচালনা করতে ব্যর্থ কমিশন, বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া কর্মী সমর্থকদের আক্রমণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ব্যালট বক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, ভোটারদের প্রভাবিত করা এবং ছাপ্পা ভোটের অভিযোগেই বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। কিছুক্ষণ আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে নিশানায় এনে বলেন, ‘আর কত রক্ত চাই আপনার?’ একই সঙ্গে ভোটপর্ব মিটে গেলে সন্ধ্যার পর তিনি কমিশনের দফতরে গিয়ে তালা ঝোলানোর মতো হুমকিও দিয়েছেন।