নজরবন্দি ব্যুরোঃ লোকসভা নির্বাচন থেকেই রাজ্যে বিজেপির চরম দাপট চলছিল। বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ এর অধিক আসন দখল করে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা। তাও হয়নি। ৭৭ এর আটকে গেছে বিজেপির রথ। এখন একাধিক উপনির্বাচনে রাজ্যে অস্তিত্ব হারাচ্ছে বিজেপি। আরও এক উপনির্বাচনে খালি হাতে ফিরল বিজেপি। বরং উত্থান হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া বাম-কংগ্রেসের।
বুধবার একাধিক পুরসভায় উপনির্বাচনের ফল ঘোষণায় সেই ছবি আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেছে। ছ’টি ওয়ার্ডে খালি হাতে ফিরতে হল শুভেন্দু-সুকান্তদের। ঝালদায় নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর আসনটিতে জয়লাভ করেছেন ভাইপো মিঠুন কান্দু। ৭৭৮ ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। চন্দননগরে বিজেপির আসনটিতে জয়লাভ করেছেন সিপি(আই)এম প্রার্থী অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। প্রায় ৩২ বছর পর এই ওয়ার্ডে জয়লাভ করল বামেরা।
দমদম, উত্তর দমদমমে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। এদিন পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়লাভ কএন মৃত কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। ২২৭৪ ভোটে জয়লাভ করেছেন তিনি। ৯৫৫ ভোটে জয়লাভ করেছেন ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল প্রার্থী কনকলতা দাস। দক্ষিণ দমদমে তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী চট্টোপাধ্যায় ৯ হাজারের অধিক ভোটে জয়লাভ করেছেন।
চারটি ওয়ার্ডেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিজেপিকে। আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। কারণ, বিধানসভা নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারের প্রচারে জোর দিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। প্রথম সারীর নেতাদের উপনির্বাচনে প্রচারে নামতে দেখা গিয়েছিল।
আরও এক উপনির্বাচনে খালি হাতে ফিরল বিজেপি, ঝালদায় জয়ী কংগ্রেস

অন্যদিকে বিক্ষুব্ধদের ম্নিয়ে জরাজীর্ন অবস্থা বিজেপির। একে একে রাজ্যস্তরের নেতারা দল যেমন ছাড়ছেন, তেমনি দলের প্রতি ক্ষুব্ধ পুরাতন বিজেপি নেতারা। এই কারণেই জেলায় জেলায় সংগঠন একেবারে আলগা হয়েছে পদ্ম শিবিরের। বুধবার ফলপ্রকাশে তা একেবারে হাতে নাতে পেলেন মুরলীধর সেন লেনের নেতারা।