নজরবন্দি ব্যুরো: রাজধানীর সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ। কারণ, নতুন আবগারি নীতি তুলে নিল দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকার।দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে নতুন আবগারি নীতি তুলে নিয়েছে সরকার তাই কিছুদিনের জন্য এই পলিসি তুলে নতুন পলিসি নিয়ে আসার কথা জানানো হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে।তাইজন্য ততদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র সরকারি মদের দোকান থেকেই মদ বিক্রি হবে কোন বার বা রেস্তোরায় মদের সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ কমিটিতে কেন তৃণমূলের নেতারা? হলফনামা চাইল হাই কোর্ট
আপাতত 468টি মদের দোকান বন্ধ হয়ে শুধুমাত্র সরকারি মদের দোকান খোলায় মদের ঘাটতির আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।এবং শুধুমাত্র সরকারি মদের দোকান খোলায় মদের ঘাটতির আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এপ্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়োজন, উত্তর প্রদেশ ও হরিয়ানাতে মদের দাম দিল্লির তুলনায় বেশি।

উল্লেখ্য, এখন দিল্লিতে বার ও রেস্তোরাঁগুলির জন্য সরকার যদি বিকল্প কোনও বন্দোবস্ত না করে তবে, মদের সরবরাহ পেতে কর্তৃপক্ষকে দিল্লি এনসিআরের অন্তর্গত নয়ডা, গুরুগ্রামের মতো অঞ্চলগুলিতে যেতে হবে ফলে সম্ভবতই বাড়বে মদের দাম। এবং যেসব সুরাপ্রেমীরা বারে গিয়ে গলা ভেজাতো তাদেরকে এবার বাড়তি খরচ দিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গতবছর কেজরিওয়াল সরকার এক নতুন আবগারি নীতি চালু করেছিল এবং সেখানে, বেসরকারি মদের দোকানে দেওয়া হয়েছিল মদ বিক্রির লাইসেন্স। এবং এই নীতি ঘোষণা হওয়ার পরেই অভিযোগ আসে, এমন ভাবে এই নীতি তৈরি করা হয়েছিল, যাতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হন।কিন্তু তবে তা কেজরিওয়াল সরকার মানতে নারাজ।
সুরাপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, ঘোষণা দিল্লি সরকারের

৩০শে জুলাই শনিবার,উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “BJP গুজরাটে অনৈতিক মদের ব্যবসা চালায়। এবার তাঁরা দিল্লিতেও সেই একই কাজ করতে চলেছে।”তবে রাজধানীর এই মদের সংকট কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কেটে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।