নজরবন্দি ব্যুরোঃ গত কয়েকমাস ধরে বাংলার সাধারন মানুষ থেকে নেতা মন্ত্রী সকলেই তাকিয়ে আছেন ২১ এর নির্বাচনের দিকে। এই নির্বাচন জিতে বাংলার মসনদে বসবে কে? এই প্রশ্ন নিয়ে ঘুরছে সব দল, সব মানুষ। এর মধ্যেই গতকাল নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে বাংলার ২১ এর নির্বাচনের নির্ঘন্ট। কড়া নিরাপত্তায় ভোট করাতে আজই শহরে এসে উপস্থিত অয়েছে আরও ১০ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার মাঝেই সভা মঞ্চ থেকে একে অপরকে করে যাচ্ছেন কটাক্ষ। আজ মেদিনীপুরের রোড শো থেকে ছন্দ মিলিয়ে BJP’কে কটাক্ষ করলেন অভিষেক।
আরও পড়ুনঃ রাজনাথের ‘বিশাল’ জনসভায় উপস্থিত ৫০০! হতাশ বিজেপি খুঁজছে কারণ।
নির্বাচনবিধি লাগু হওয়ার পরে এই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে রোড শো করছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তমলুকের জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার শনিবার ঘাটাল ছিল তাঁর প্রচার কেন্দ্র। প্রচারে তাঁর বাহন ছিল ‘দিদির দূত’ গাড়ি। ওই গাড়িতে করেই করে রোড শো করে মানুষের কাছে তৃণমূলের বার্তা পৌঁছে দেন অভিষেক। দাসপুর থেকে ঘাটাল সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রোড শো করেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগের পর অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন মেদিনীপুরে তৃণমূলের মাটি আলগা হতে পারে, এবং সমান্তরাল ভাবে ঘাঁটি শক্ত হতে পারে বিজেপির। ফলতই নির্বাচনে বেশ বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে মেদিনীপুর। মেদিনিপুরের ঘাঁটি শক্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে মমতার সরকার। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকেই প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন তিনি। মেদিনীপুরে দফায় দফায় সভা কছেন অভিষেকও।
এবার ঘাটালের সভা থেকে কার্যত অভিষেক কটাক্ষ করেছেন বিজেপিকে। শনিবার ঘাটালের জনসভা থেকে তিনি বলেন বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি জানে না। আর মেদিনীপুর কার বাবার সম্পত্তি নয়। তাই এই নির্বাচনে কোন বহিরাগত বাংলায় ভোট করাবেনা। বাংলায় ভোট করাবে কন্যাশ্রী, যুবশ্রীরা।
ছন্দ মিলিয়ে BJP’কে কটাক্ষ। শুধু তাই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দুর গড়ে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ হুঙ্কার অভিষেকের , “সিবিআইয়ের ভয়ে অনেকে দল ছেড়েছে। কিন্তু সেই ভয়ে আমার শিরদাঁড়া বিক্রি হবে না।” বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, “যাঁরা বাংলার কৃতী মানুষজনের নাম জানেন না, যাঁরা বাংলার সংস্কৃতি জানেন না, তাঁদের ভোট দেবে না বাংলা। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫-০ হবে।” এর পরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূলের যুব নেতা। বলেন, “সকাল বেলায় লোকের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খাচ্ছেন ওঁরা। সকাল বেলায় কলাপাতার সঙ্গে দোস্তি করছেন, আর বিকেলবেলা পাঁচতারায় গিয়ে মস্তি করছেন”