প্রাণ সংশয়ের ভয় রয়েছে, অর্পিতাকে জেলে রাখা হোক, দাবি তাঁরই আইনজীবীদের!
Arpita Mukherjee's Lawyer didn't apply for her bail instead want her to saty in prison

নজরবন্দি ব্যুরোঃ হেফাজতে পাওয়ার পর থেকেই দফায় দফায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় তদন্তে কোনরকম সহযোগীতা না করলেও ভালরকম সঙ্গ দিচ্ছেন অর্পিতা। তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিয়েছেন। তাঁর কথার সূত্র ধরেই আরও ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। সাথে উদ্ধার করা হয়েছে ৫ কোটির সোনা। অনেক রৌপ মূদ্রা। কিন্ত এহেন অর্পিতার আইনজীবীরা এদিন আদালতে তাঁর জামিনের আর্জি করলেন না।

আরও পড়ুনঃ পার্থ এখন ১০৮, ১২ দিনে ৩ কেজি ওজন কমে গেল প্রাক্তন মহাসচিবের।

SSC Scam: প্রাণ সংশয়ের ভয় রয়েছে, অর্পিতাকে জেলে রাখা হোক, দাবি তাঁরই আইনজীবীদের!

শুক্রবার তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন না করে জানালেন, অর্পিতাকে জেলে রাখা হোক প্রথম শ্রেণির কয়েদি হিসেবে। এসএসসি ‘দুর্নীতি’তে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতাকে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। ইডি হেফাজত শেষে দু’জনেরই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই আবেদনের পাল্টা ‘প্রভাবহীন’ পার্থ জামিনের আবেদন করলেও অর্পিতার আইনজীবীরা জামিনের আর্জি জানাননি।

SSC Scam: প্রাণ সংশয়ের ভয় রয়েছে, অর্পিতাকে জেলে রাখা হোক, দাবি তাঁরই আইনজীবীদের!

বরং ২ টি বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। তাঁদের আবেদন অর্পিতাকে যেন প্রথম শ্রেণির কয়েদি হিসেবে গন্য করা হয়। এবং দুই, তাঁর প্রানের ভয় রয়েছে, সেক্ষেত্রে তাঁর নিরাপত্তা যেন সুনিশ্চিত করা হয়। আদালতে অর্পিতার আইনজীবীরা বলেছেন, অর্পিতাকে দেওয়ার আগে যেন খাবার বা জল দেওয়ার আগে পরীক্ষা করে নেওয়া হয়।

প্রাণ সংশয়ের ভয় রয়েছে, অর্পিতাকে জেলে রাখা হোক, দাবি তাঁরই আইনজীবীদের!

SSC Scam: প্রাণ সংশয়ের ভয় রয়েছে, অর্পিতাকে জেলে রাখা হোক, দাবি তাঁরই আইনজীবীদের!

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল ইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়েছেন অর্পিতা। দিয়েছেন নামের তালিকা। স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর ঘরে টাকা রেখেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা স্বীকার করেছেন যে TET এবং SSC শিক্ষক নিয়োগ, ট্রান্সফার পোস্টিং এবং কলেজে স্বীকৃতি পাওয়ার পরিবর্তে এই ঘুষ নেওয়া হয়েছিল।