নজরবন্দি ব্যুরোঃ দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের। আগামি ২৭ মার্চ থেকে রাজ্যে শুরু ভোট গ্রহণ। মোট ৮ দফায় ২৯৪ টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ভোটাররা। আর জনগনের নজর এখন বিভিন্ন দলের প্রার্থী তালিকায়। কোন দলই এখন পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। অন্যদিকে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থীবাছাই করতে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের ভোট ম্যানেজাররা। ৪ টি আসনে বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে নিজেকে মনোনীত করলেন ১০০ জন!
আরও পড়ুনঃ জেলার পাশাপাশি কলকাতাতে শুরু হল রুটমার্চ, এলাকা চিনছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রামের ৪ টি আসনে বিজেপির প্রার্থী হতে চেয়ে নিজেকে মনোনীত করেছেন অন্তত ১০০ জন! এই ১০০ জনের মধ্যে রয়েছেন, বিজেপি বিভিন্ন স্তরের সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে যুবমোর্চা, মহিলামোর্চা-সহ আরও অন্যান্য শাখা সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা। বিজেপির সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম জেলার চারটে আসনে লড়তে চেয়ে নিজেদের নাম প্রস্তাব করেছেন দলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব।
প্রার্থী হতে চাওয়ার তালিকায় রয়েছেন মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক, এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি, যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, জেলার যুব মোর্চার এক রাজ্য নেতা, বিজেপির মুখপাত্র, শিক্ষক সংগঠনের একাধিক জেলা নেতা, বিজেপির জেলা সম্পাদক-সহ জেলার বিভিন্ন মন্ডলের সভাপতিরাও। প্রার্থী হতে চাওয়ার বহর দেখে রীতিমত বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা। মুশকিল হল ৪টে মাত্র আসন। প্রার্থী হতে চেয়েছে ১০০ জন! কাজেই গোষ্ঠী দ্বন্দ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা।
এই ব্যাপারে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি সুখময় শতপথির মন্তব্য, “গণতান্ত্রিক দলে যে কেউ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করতে পারেন। অসুবিধা কোথায়? আর আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠী নেই। ফলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হওয়ার কোন বিষয় নেই।”
এই নির্বাচনকে কার্যত নিখুঁত এবং সন্ত্রাস মুক্ত করার প্রচেষ্টায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই দফায় দফায় ঘুরে গেছেন বাংলা থেকে। নির্দেশ দিয়ে গেছেন সর্বস্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ভোট করাতে বাংলায় ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে ২৫ কোম্পানি ইতিমধ্যেই টহল শুরু করেছে।