নজরবন্দি ব্যুরোঃ লোকসভার পর এবার রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল মহিলা সংরক্ষণ বিল। আর রাজ্যসভাতে একটি ভোটও এই বলের বিরোধিতায় পড়েন। পক্ষে ভোট পড়েছে ২১৫টি। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার সময় রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাস হয়েছে মহিলা সংরখণবিল। এখন, রাষ্ট্রপতি সই করলেই কিন্তু আইনে পরিণত হবে বিলটি।
আরও পড়ুনঃ এবার মদনের এলাকায় ED হানা, নথি চেয়ে কামারহাটি পুরসভার ৩৪ জনকে তলব
এর আগে বুধবার লোকসভায় পাস হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। সেক্ষেত্রে বিলের পক্ষে ভোট দেন ৪৫৪ জন এবং বিপক্ষে মাত্র ২ জন। মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “মহিলা সংরক্ষণ বিল আগেও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু পাশ করানো হয়নি। ভগবান হয়তো এটা করার জন্য আমায় বেছে নিয়েছেন। মা-বোনেদের আশ্বস্ত করছি। এই বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ।’’
কংগ্রেস এই বিলকে সমর্থন জানালেও সনিয়া গান্ধী বলেছেন, এই বিল সর্বপ্রথম রাজীব গান্ধী আনেন। এই বিলের ফলে, বিধানসভা ও লোকসভায় এক-তৃতীয়াংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তৃণমূলের তরফে বলে হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকেই তৃণমূলের প্রার্থীদের মধ্যে ৪০-৫০ শতাংশই মহিলা।
মোট কথা, বিরোধীদের কথায়, এই বিল পাস করে কোনও নতুন কাজ করেননি নরেন্দ্র মোদী। শুধুমাত্র আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘চমক’ হিসাবে পাস করা হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই বিলকে ‘নির্বাচনী জুমলা’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
সর্বসম্মতিতে রাজ্যসভায় পাস মহিলা সংরক্ষণ বিল, এবার রাষ্ট্রপতি সই করলেই তৈরি আইন!
কিন্তু আসল কথাটা হল, এক্ষুনি এই বিলটি কার্যকর হচ্ছে না। আসন পুনর্বিন্যাসের পরেই বিলটি কার্যকর হবে। নিয়ম অনুযায়ী আবার, আসন পুনর্বিন্যাসের আগে জনগণনা হওয়া প্রয়োজন। এদিকে জনগণনা হবার কথা আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের পরে। অর্থাৎ এই বিল কার্যকর হতে পারে ২০২৯ লোকসভায় এবং তার আগে বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায়।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী এই বিল প্রসঙ্গে বলেছেন, “কংগ্রেস এই বিলকে সমর্থন করে। বিলটি পাস হওয়ায় আমরা খুশি। কিন্তু আমরা এই নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে চাই। ভারতীয় মহিলারা গত ১৩ বছর ধরে তাদের রাজনৈতিক দায়িত্বের জন্য অপেক্ষা করছেন। এখন তাদের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে। কত বছর? ভারতীয় মহিলাদের সাথে এই আচরণ কি উপযুক্ত? কংগ্রেস দাবি করেছে যে বিলটি অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। সঙ্গে জাতিশুমারিও করা উচিত এবং এসসি, এসটি এবং ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।”
