নজরবন্দি ব্যুরো: গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল এই মারন করোনা। তবে সেসময়ে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে ফের করোনার বাড়বাড়ন্তের আভাস মিললেও সেইসময় খুব একটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখা দেয়নি। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষেরদিক বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবের আমেজে বাড়তে থাকে ওমিক্রনের দাপট।
আরও পড়ুনঃ ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু, উপস্থিত হচ্ছে ৫১ টি অ্যাম্বুলেন্স
এই পরিস্থিতিতে যখন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে গোটা দেশের চিকিৎসকদের মধ্যে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার করোনার চিকিৎসা কে কেন্দ্র করা নতুন করে ওষুধের সুপারিশ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় ই গোটা বিশ্ব জুড়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের কাছাকাছি।
সেইসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গেব্রেইসাস জানিয়েছিলেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণের হার ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওমিক্রন সকল দেশেই দ্রুত ডেল্টাকে প্রতিস্থাপিত করছে। তিনি আরও বলেছিলেন গোটা বিশ্বের এখনও অনেক মানুষ করোনার টিকা নেননি।
তাই ভাইরাসকে খোলাখুলিভাবে ছড়িয়ে পড়া থেকে প্রতিরোধ করতে হবে। বিশেষত আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশেই এখনও পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ মানুষের করোনা টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়া বাকি । ” যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছিল চিকিৎসকদের।
কোভিড চিকিৎসায় নয়া ওষুধের সুপারিশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
তাই এই পরিস্থিতিতে কোভিড চিকিৎসার অগ্ৰগতির ক্ষেত্রে আপাময় চিকিৎসকদের জন্য আরও দুটি নয়া ওষুধের কথা জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের তরফ থেকে বলা হয় এখন থেকে খুব গুরুতর কিংবা সংকটজনক পরিস্থিতি কোনো রোগীর দেখা দিলে মূলত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসার জন্য বারিসিটিনিবের ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও এই ভাইরাসের কবলে পড়ে অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সোট্রোভিমাবের মত ওষধ কে ব্যবহার করা যাবে।