নজরবন্দি ব্যুরোঃ থমথমে সবং, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করল কারা? উত্তরবঙ্গ সফর সবেমাত্র শেষ করে কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ হাথরসের ঘটনায় ডেরেক ওব্রায়ান দের ওপর করা পুলিশি হামলার প্রতিবাদী মিছিলে যোগ দেন তিনি । এরইমধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং। সেখানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রায় ২০টিরও বেশি মোটর বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ এবার প্রতারণা মামলার চার্জশিটে নেই মুকুলের নাম! কিসের ইঙ্গিত?
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভাতে যোগ দেওয়া দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। কেনই বা এমনটা হল! তৃণমূলের দাবি, শুক্রবার রাতে আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক সবংয়ের ১১ নম্বর মোহাড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়।
ওই বিজেপি কর্মীরা ময়নায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা থেকে ফেরার পথে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। এছাড়া দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে থাকা ২০টিরও বেশি বাইকে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বাধা দিতে যান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তাতেই কমপক্ষে ৫ জন জখম হন। তাঁরা বর্তমানে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ।
থমথমে সবং, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করল কারা? তাদের দাবি, গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগায়নি কিংবা হামলা চালায়নি। উলটে এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি বিজেপির । বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। মারধরও করে। তাতে বেশ কয়েকজন অল্পবিস্তর জখমও হয়েছেন। এই ঘটনার পর থেকে থমথমে সবংয়ের ১১ নম্বর মোহাড় এলাকা। তবে নতুন করে যাতে আর কোনও অশান্তি না হয় তাই এলাকাজুড়ে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।