৩ কিমি রাস্তা ফেরানো জন্য ৩৮০ জনের সাক্ষর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদনপত্র দিল বিশ্বভারতী।

নজরবন্দি ব্যুরো: শান্তিনিকেতনের পরিবেশ আপাতত কিঞ্চিৎ অশান্ত। গত একমাস ধরে লাগাতার সভা মঞ্চ। তারপর একের পর এক বিতর্ক। বিতর্ক কিছুতে পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীর। গতকালই একসাথে তিন আন্দোলন-প্রতিবাদ রীতিমত ধস্তাধস্তির পর্যায়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। এখন বিশ্বভারতী মূলত রাজ্যের কাছে আবেদন জানাচ্ছে রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য । বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের যে রাস্তা রাজ্য সরকার দিয়েছিল গত ২৮সে ডিসেম্বর বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী প্রায় ৩ কিলোমিটারের সেই রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেন ।
তারপর থেকেই শুরু হয় জলঘোলা। ১ জানুয়ারি বিশ্বভারতী রাজ্য সরকারকে চিঠিও লেখে এই মর্মে, তবে কোনো উত্তর নাকি রাজ্যের তরফ থেকে যায়নি। বিশ্বভারতী র অন্দরেও চলছে এক ধিক বিতর্ক। উপাচার্যের বিজেপি ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গতকালই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় বাম সমর্থিত ছাত্র সংগঠন। তার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজন ও প্রতিবাদ মিছিল করেন একই বিষয়ে।
এদিকে হঠাৎ করে চত্বর জুড়ে বিজেপির পোস্টার এবং উপাচার্যের সমর্থনে পোস্টার পড়ায় উপাচার্যের বিজেপি যোগকে কার্যত সিলমোহর দিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকেই। যদিও বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক বিজেপির অনুপম হাজরা বলছেন এসব তৃণমূলের কাজ। তৃণমূল এসব কাজ করে প্রতিবার সমালোচিত হয় তাই এবার বিজেপির দিকে দোষ দিতে এরকম কাজ করছে।
গত কাল শনিবার এই পরিস্থিতির ঠিক আগেই শাতিনিকেতনের ছাতিম তলায় এক ঘণ্টার প্রতীকী অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য সহ একাধিক অধ্যাপক, আধিকারিক, কর্মীরা। তারপরই ৩৮০ জনের সাক্ষর করা চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাতে রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনপত্রে দুটি প্রধান অসুবিধের কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা। প্রথমত- ওই রাস্তা স্বাভাবিক হয়ে গেলে ভারী যান চলাচল করলেও দু পাশের পুরনো স্থাপত্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যদিও রাস্তার দায়িত্ব ফিরিয়ে নেওয়ার দিনেই জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছিলেন আগের মতই ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
দ্বিতীয় কারণটি হলো, রাস্তা বিশ্বভারতীর হাত থেকে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে গেলে শিশু পড়ুয়াদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এই দুটি মূল কারণ দেখিয়ে প্রায় ৩৮০ জনের সাক্ষর নিয়ে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।