নজরবন্দি ব্যুরো: আগে আপারের নিয়োগ, তার পরে নতুন বিজ্ঞপ্তির কথা ভাবুক কমিশন। বেশ কয়েক বছর ধরে আইনি জটে আটকে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। শেষ পাওয়া হিসাব অনুসারে প্রায় ১৪ হাজারের কাছাকাছি শূন্য পদ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে। সম্প্রতি আইনি জটের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আদালতের নির্দেশে গত বছরের পুজোর ঠিক আগেই কমিশন উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু সেই মেধাতালিকায় গরমিলের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। পুজোর পরেই আদালত উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় পুরো শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াই আটকে যায়।
আরও পড়ুনঃ ৩০ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগের পরিকল্পনা রাজ্যের!
আগে আপারের নিয়োগ, তার পরে নতুন বিজ্ঞপ্তির কথা ভাবুক কমিশন। কিছু মাস আগে সেই আইনি প্রক্রিয়ায় ত্বরান্বিত করতে আসরে নামে স্কুল শিক্ষা দফতরও। অপরদিকে বেশ কয়েকবছর ধরে বিতর্ক চলার পরে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করেছে কমিশন। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে না পারায় নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছে না এসএসসি। এর ফলে রাজ্যের স্কুল গুলিতে শিক্ষকের অভাব থাকলেও নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারছে না কমিশন।
টাটকা খবরঃ রাজ্যে একদিনেই আক্রান্ত ১৫৬০ জন! ৫% কমে গেল সুস্থতার হার। #Exclusive
ইতিমধ্যেই নয়া শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে নয়া বিধিও বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ওই নয়া বিধি মোতাবেক, শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হলে উচ্চ প্রাথমিক,নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি একসাথে জারি করতে হবে। যা নিয়ে সমস্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তিনটি বিভাগেরই প্রচুর শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। সেই শূন্যপদগুলিতেও দ্রুত নিয়োগ করতে চায় সরকার।
পাশাপাশি, উচ্চ প্রাথমিক পরীক্ষায় ২০১৫ সালে উপযুক্ত নাম্বার নিয়ে টেট পাস করে এবং B. ED করে দীর্ঘদিন যন্ত্রণার সাথে দিন কাটাচ্ছে হাজার হাজার চাকরি প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, আমাদের কেস পেন্ডিং আছে, ভেরিফিকেশন এ ডাকা হয়নি কিন্তু যাদের ট্রেনিং নেই তাঁদের ভেরিফিকেশন এ ডাকা হয়েছে এই দীর্ঘ দিনের বঞ্চনা আর কতদিন চলবে? ট্রেনিং ছাড়া নিয়োগ হবে না বলার পরেও নন ট্রেনিং রা কিভাবে ভেরিফিকেশন এর সুযোগ পায়?
প্রসঙ্গত, উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চনার এখন সাত বছর চলছে। এই অবস্থায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা ফের আন্দোলনে নেমেছেন। বাড়িতে বসে অনশন, ফেসবুক লাইভ বা অবস্থান বিক্ষোভের সাথে গন ইমেল, ট্যুইট সবই করেছেন তাঁরা। এখন চলছে জেলায় জেলায় ডিআই দের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি। আর একই সাথে চলছে রাজ্য থেকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের কাছে সশরীরে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের কাছে চিঠি সম্বলিত বঞ্চনার প্রতিবাদ কর্মসূচী। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকজন বিধায়ক, মন্ত্রী সাংসদ এবং পুরো প্রধান দের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।