নজরবন্দি ব্যুরো: বঙ্গে প্রবেশ করেছে উত্তুরে হাওয়া। কমছে তাপমাত্রা। ভোর ও রাতের দিকে শিরশিরানি ঠাণ্ডা। রিফ্রেশমেন্টের জন্য ছুটি কাটাতে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি এদিক ওদিক ছোটে। কেউ পছন্দ করে পাহাড়, কারও পছন্দ সমুদ্র, কেউ আবার জঙ্গল-প্রকৃতির মাঝে থাকতে চায়। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে এমন অনেক পর্যটন কেন্দ্র আছে যেখানে অল্প খরচে সুন্দরভাবে ছুটি কাটানো যায়। আজ খোঁজ রইল সেরকমই দুটি ঠিকানার।
আরও পড়ুন: কলকাতার কাছেই মিনি ডুয়ার্স, শীতের আমেজ গায়ে মেখে ঘুরে দেখুন এই ঠিকানা
গড়চুমুক
কলকাতার কাছে হাওড়া জেলায় অবস্থিত এই জায়গাটি অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দামোদর ও ভাগীরথীর মিলমিশটা ঠিক এখানেই। চারিদিকে সবুজ গাছের ছায়া ও পাখির কলরব আরও মায়াবি করে তোলে পরিবেশকে। প্রায় সারা বছরই এখানে জেলা ও তার বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা ভিড় জমান। পার্কের জলের মধ্যে বোটিং এক অন্যতম আকর্ষণ। আগামী দিনে আইসক্রিম পার্লার ও খাবার পরিষেবাও দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রাত্রিবাসের জন্য হোম স্টের ব্যবস্থা রয়েছে।
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে উলুবেড়িয়া আসতে হবে। সময় লাগবে প্রায় ৪৫ মিনিট। এরপর অটো বা ট্রেকারে গড়চুমুক চলে যেতে পারেন। এছাড়া যদি বাসে যেতে চান, তাহলে ধর্মতলা থেকে বাস ধরে ৫৮ গেট বাসস্টপ নামতে হবে। ২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।
কৈখালী
দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাতলা ও নিমানিয়ার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই জায়গাটি। মাতলা ও নিমানিয়া এই দুই নদীর সঙ্গমস্থল এখানেই। নিমানিয়া শান্ত নদী, ঢেউ নেই তাই পাড় ভাঙার সম্ভাবনাও কম। এই নদী মিশেছে মাতলায়। অন্যদিকে মাতলা নদী সরাসরি সাগরে মিশেছে তাই এর বিস্তার অনেকটাই। নদী বাঁধের ওপর ইট দিয়ে পায়ে হাঁটার জন্য পথ তৈরি করা হয়েছে। কৈখালীতে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ অন্যতম আকর্ষণ ম্যানগ্রোভ।
কীভাবে যাবেন?
শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ধরে জয়নগর মজিলপুর নামতে হবে। সেখান থেকে ট্রেকার, অটো অথবা ভ্যান ধরে জামতলা হাট হয়ে কৈখালী পৌঁছে যাবেন। সড়কপথে গড়িয়া-বারুইপুর-জয়নগর, মজিলপুর-নিমপীঠ হয়ে পৌঁছে যাবেন।
বাংলার ২ জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র, বাজেটের মধ্যেই কাটিয়ে আসুন ছুটি
