নজরবন্দি ব্যুরোঃ তিনি বিজেপি (BJP) ছাড়ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। মিডিয়ার জল্পনা খারিজ করে দেওয়ার বদলে, মাঝেমধ্য়ে তা উস্কে দেওয়ার কাজই করে আসছিলেন অর্জুন। শেষ মেশ রবিবারের বারবেলায় তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটল ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুনের। এই দলত্যাগের নেপথ্যে অর্জুনের যুক্তি, বাংলায় পাটশিল্প কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হচ্ছিল। তাই নেত্রী মমতার সঙ্গে আন্দোলনে নামতে চান তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘এপাং ওপাং ঝপাং’, অর্জুনের তৃণমূল প্রত্যাবর্তনে তীব্র কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর।
যদিও তার এই যুক্তি ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার কথায়, প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সারেন্ডার করেছেন অর্জুন সিং। অর্জুন তৃণমূলে যোগ দিয়ে বলেছেন বিজেপি শুধু ফেসবুকে আন্দোলন করে তা নিয়েও হুঙ্কার দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এক কথায় অর্জুনের যাবতীয় যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ।

দিলীপ ঘোষের কথায়, “উনি বলেছেন, পাট শিল্পকে বাঁচাতে বিজেপি ছেড়েছেন। তৃণমূল পাট শিল্পকে বাঁচাতে পারবে? টিএমসি বাঁচবে কি না ঠিক নেই! কিছু একটা বাহানা তো দিতে হবে! ওঁর সঙ্গে এ নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতারা কথা বলেছেন। পুরনো বাড়িতে গিয়েছেন, লজ্জা কীসের। আমরা যদি ফেসবুকে রাজনীতি করি, তা হলে আমাদের ২০০ কর্মী খুন হলেন কী করে? উনি তৃণমূল ছাড়ার পর ওঁর বিরুদ্ধে একশোরও বেশি কেস হয়েছে। উনি কি ঠান্ডা ঘরে বসে কেস খেলেন?”
১২২ টি মামলা, বন্ধ যাবতীয় ব্যবসা, প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে না পেরে সারেন্ডার অর্জুনের: দিলীপ
এরপরেই অর্জুন সিংকে লক্ষ্য করে বিলো দ্যা বেল্ট আঘাত শানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ‘”দলবদল রাজনীতির একটা অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কেউ তাড়াতাড়ি যান, কেউ একটু দেরি করে। আসলে অর্জুন চাপে পড়ে চলে গিয়েছেন। ওঁর একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পর হয়তো আর লড়াই করা সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না তাই সারেন্ডার করেছেন।”
এই প্রশাসনিক চাপের কথা শোনা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও। তিনিও বলেছেন যে দল ছাড়ার কারনে তার ওপর ১২২ টি মামলা হল সেই দলেই ফিরলেন অর্জুন।