নজরবন্দি ব্যুরোঃ নব নির্বাচিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সজ্ঞানেই অস্বীকার করলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিতির কথা। ট্যুইট করে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যপালের শপথগ্রহণ পর্বে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাঁর জন্য ব্যক্তিগত ভাবে সময় চেয়ে নিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপালকে টুইটারে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। ট্যুইটারে তিনি আরও বলেন, তাঁকে আমন্ত্রণ জানলেও সঠিক পরিবেশ দেওয়া হইনি। এই ব্যাপারে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মহাগুরুর যাত্রায় সঙ্গী বদল, রাজভবনে যাচ্ছে শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি!
সাংবিধানিক বিধিলঙ্ঘন কারী দুই বিধায়কের পাশে বসতে নারাজ ছিলেন বিরোধী দলনেতা। মূলত শাসক দলের থেকে তাঁকে সঠিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেও তাঁর অনেক ক্ষোভ ছিল। এরপর যখন তিনি জানতে পারেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশেই বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন না। এই দুই বিধায়ক লিখিত ভাবে পদ্ম শিবিরের হলেও, শাসক দলের সঙ্গে রয়েছে বিশেষ সম্পর্ক, তারা বিধায়ক পদে ইস্ত্বাফা না দেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের মামলা এনেছে বিজেপি। ফলত এহেন বিরুদ্ধ পরিবেশে শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে বিপাকে ফেলাই উদ্দেশ্য ছিল শাসক দলের এমনটাই মনে করেছেন তিনি।
রাজ্যপালের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছুক বিরোধী দলনেতা। এমন্টাই জানিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকে। পাঁচ মিনিট সময় চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি রাজ্যের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করাও বিরোধী দলনেতা হিসাবে তাঁর কর্তব্য বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাক্ষাতে যেতে পারেন রাজ্যপালের।
দলত্যাগী বিধায়কদের পাশে বসতে বিরক্ত শুভেন্দু, রাজ্যপালের কাছে চাইলেন আলাদা পাঁচ মিনিট
এদিকে সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে শুধু সৌজন্যের মিষ্টি খাওয়ালেই হবে না, রাজ্যপালের মতো বিদ্বান ও বিচক্ষ্ণ মানুষকে পশ্চিমবঙ্গের উন্নতিকল্পে লাগাতে হবে। রাজ্য এক জন বিদ্বান ও দূরদর্শী রাজ্যপাল পেয়েছে বলে জানান বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।