নজরবন্দি ব্যুরোঃ সবচেয়ে লজ্জার বিষয়, এতবড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও চুপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলছেন না? এবার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী কখনই তৃণমূল নেত্রীর সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেননি। তৃণমূল শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুনঃ MCD Election: টিকিট দেয়নি দল, মোবাইল টাওয়ারে চড়ে বসলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর
উল্লেখ্য, দাঁত ফোকলা হাফ মন্ত্রী। কাকের মতো দেখতে। এসব লোকের কথার উত্তর দিই না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে বসলেন রামনগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি বলেন, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?
রাজ্যের মন্ত্রীর এই মন্তব্য কার্যত দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এখন বিরাট প্রশ্নের মুখে তৃণমূল। এমত অবস্থায় মন্ত্রীর বক্তব্যের দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে তৃণমূল। এপ্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদির করা মন্তব্যের কথাও উল্লেখ করতে দেখা গেছে কুণাল ঘোষদের। এবার তাদেরকেই কড়া বাক্যবাণে বিদ্ধা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, সবচেয়ে লজ্জার বিষয়, এতবড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আদিবাসীদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে, তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী একবার মুখ খোলার সময় পেলেন না? সাড়ে তিন বছর জেল খাটা একটা বাচাল লোককে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ খোলার জন্য? এটা আমাদের জন্য সবথেকে বেদনাদায়ক।
এতবড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও চুপ মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে খোঁচা সুকান্তর
তিনি আরও বলেন, জনগণ দেখছে সবকিছু। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করলে, আদিবাসী সমাজকে অপমান করলে, এই আদিবাসী সমাজ মনে হয় ছেড়ে দেবে? তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এরপর রাস্তায় গিয়ে যদি আদিবাসী সমাজের লোকেদের হাতে হেনস্থা হন, তার দায় মুখ্যমন্ত্রী নেবেন।