অভিমানী প্রসূনকে ফোন সৌগত রায়ের, সাংসদদের ক্ষোভ প্রশমনে মরিয়া ঘাসফুল শিবির

নজরবন্দি ব্যুরো: অভিমানী প্রসূনকে ফোন সৌগত রায়ের, ভোটের আগে একের পর এক ক্ষোভপ্রকাশ। আর তাঁদের মানভঞ্জনে ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসে ভোটের অনান্য কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ ও দলীয় কর্মীদের সমস্যার সমাধান সূত্র খুজে বের করা যেন রাজ্যের শাসক দলের রোজকার নামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গতকাল শতাব্দীর পর এবার ‘বেসুরো’ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙাতে আসরে নামলেন সৌগত রায়। শনিবার ফোনে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: ‘প্রাপ্য সন্মান পান না, কর্মীদের দুঃখ, হতাশা বুঝি,’ লাইভে এসে কীসের ইঙ্গিত দিলেন রাজীব?
বৃহ্স্পতিবার থেকে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের ক্ষোভ নিয়ে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি। দিল্লিতে যাওয়ার কথা বলায় দলবদলের জল্পনা আরও জোরদার হয়েছিল। যদিও দফায় দফায় বৈঠকের পর শুক্রবার সন্ধেয় সমস্যার সমাধান হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের পাশে সবসময় তিনি আছেন বলেই জানিয়ে দেন। দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তও বাতিল করেন। বৈঠকের পর শনিবার ফেসবুক পোস্টে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সবে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে ঘাসফুল শিবির, ঠিক সেই সময় শুক্রবার রাতে বিদ্রোহ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হাওড়ার সাংসদের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্ব কোনও সম্পর্ক রাখে না। এমনকী সাংগঠনিক স্তরে রদবদল সম্পর্কেও তিনি কিছুই জানতে পারেন না বলেও অভিমানের সুর তৃণমূল সাংসদের গলায়। তাঁর দাবি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে হাওড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি ঘোষণার পরেও দলের তরফে কিছু জানতে পারেননি। আর পাঁচজনের মতো সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁকে বিষয়টি জানতে হয়।
শতাব্দীর পর ‘অভিমানী’ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় জোর চর্চা। তবে কি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের পথে হাঁটছেন, সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খেতে থাকে চতুর্দিকে। আর তারপরই ক্ষোভ প্রশমনে আসরে নামল তৃণমূল। সৌগত রায় ফোন করেন প্রসূনকে। ঠিক কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাঁর, সে বিষয়ে খোঁজ নেন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমস্যার কথা সৌগত রায়কে জানান। তবে দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে দেন হাওড়ার সাংসদ। মতবিরোধ হলেও ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলেই আশ্বাস তাঁর।
অভিমানী প্রসূনকে ফোন সৌগত রায়ের, এদিকে প্রসূন ও শতাব্দী যে দলবদল করতে প্রস্তুত, তা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সুতরাং এখন দেখার দলবদল কি শুধুই জল্পনা নাকি সত্যিই সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি সত্যি। বলবে সময়।